প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার পরিবর্তে ২০২২ সাল থেকে চালু হচ্ছে ‘ধারাবাহিক মূল্যায়ন’।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দিয়ে ক্লাস মূল্যায়ন করে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য বিভিন্ন জেলার ১০০টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতি চালুও করা হয়েছে। তবে ২০২১ সাল থেকে সারাদেশের সাড়ে ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কার্যকর সম্ভব হচ্ছে না।
মূলত করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণেই সেটি আগামী বছর থেকে কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা উঠিয়ে দেয়ায় প্রাথমিক স্তরের পুরো শিক্ষাক্রম (কারিক্যুলাম) নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে নতুন করে লেখা হচ্ছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির সব বই। এই বই আগামী ২০২২ সালে ছাপিয়ে সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এরপরই পরীক্ষা উঠিয়ে দিয়ে ‘ধারাবাহিক মূল্যায়ন’ কার্যকর করা হবে।
গত বছরের ১৩ মার্চ এক অনুষ্ঠানে শিশুদের ওপর পরীক্ষার চাপ কমাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিশুদের শিক্ষার জন্য অতিরিক্ত চাপ দেয়া উচিত না। তাদের পড়াশোনাটা তারা যেন খেলতে খেলতে, হাসতে হাসতে সুন্দরভাবে নিজের মতো করে নিয়ে পড়তে পারে সেই ব্যবস্থাটাই করা উচিত। সেখানে অনবরত পড়, পড়, পড়- বলাটা বা তাদের ধমক দেয়াটা...এভাবে আরো বেশি চাপ দিলে শিক্ষার উপর আগ্রহটা কমে যাবে। একটা ভীতি সৃষ্টি হবে। সেই ভীতিটা যেন সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের শিক্ষক ও অভিভাবকদের আমি অনুরোধ করব।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন