রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শেষে সমঝোতা করে হলে ফিরেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগ। বৃহস্পতিবার রাতে চবি উপাচার্যের সঙ্গে প্রায় দুঘণ্টা বৈঠকের পর হলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় গত রবিবার থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকা শাখা ছাত্রলীগের একাধিক উপগ্রুপ। উপগ্রুপগুলোর নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে বসেন। যেটি রাত ৯টায় শুরু হয়ে ১১টায় শেষ হয়। আর সংঘর্ষে জড়াবেন না এবং দলে ঐক্য ও শৃঙ্খলা ফেরাবেন- এমন সমঝোতায় আসেন নেতারা।
চবি প্রক্টর অধ্যাপক মনিরুল হাসান বলেন, সব গ্রুপ সমঝোতায় এসেছে তারা আর সহিংসতায় জড়াবে না। আমরাও এখন কোনো মামলা করছি না। আমাদের থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যে ব্যবস্থা নেব তা সবাই মেনে নিতে একমত হয়েছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন উপাচার্য। ছাত্রলীগের সব উপগ্রুপ ক্যাম্পাসে সহাবস্থান বজায় রেখে রাজনীতি করবেন। এ ছাড়া যাদের হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ নিজ সিটে উঠতে সহায়তা করবে প্রশাসন। রুম ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়োরও আশ্বাস দেন উপাচার্য।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, প্রত্যেকে যে যার হলে সহাবস্থান করবে। আবার সংঘাতে জড়াবে না। আর দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে তাতে আমাদের সমর্থন থাকবে।
পূর্ব ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে চবি ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মাত্রা বৃদ্ধি পায় মধ্যরাতে হল ভাঙচুর ও প্রতিপক্ষকে রুম ছাড়া করার কারণে। এতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। এ সময় দুটি আবাসিক হলের প্রায় শতাধিক কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। আহত হন প্রায় ২০ জন। আটক করা হয় আট নেতাকর্মীকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন