বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্যাতনের স্টাইলে এবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে ভাগ্য ভালো থাকায় ওই ছাত্রকে আবরারের মতো মৃত্যুবরণ করতে হয়নি। ভাগ্য ভালো থাকায় বেঁচে আছেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে রাতভর দফায় দফায় নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সভায় তাদের ওই শাস্তি প্রদান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন শহীদ জামাল হোসেন হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিশ শাফি, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহাদত হোসেন শাওন এবং পাঠাগার সম্পাদক মো. রাহাত হোসেন। বহিষ্কৃত আব্দুল্লাহ হিশ শাফি ও শাহাদত হোসেন ভেটেরিনারি অনুষদ এবং মো. রাহাত হোসেন কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. আজহারুল হক বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ২০১৯ দিবাগত রাতে শহীদ জামাল হোসেন হলের সভাপতিকে সালাম না দেওয়ার অভিযোগে মাকসুদুল হল ইমু নামের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে নির্যাতন সেলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে ওই ছাত্রকে রাতভর দফায় দফায় নির্যাতন করে ‘আদব’ শিক্ষা দেয়া হয়। তাকে হলের কক্ষে আটকে রেখে স্ট্যাম্প দিয়ে পেটায় ওই ছাত্রলীগ নেতারা। এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন