ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে দুই দফা আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এ এস এম আল সনেট। অবশেষে চড়-থাপ্পর খেয়ে দৌড়ে পালালেন ওই বিতর্কিত নেতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে এমনটাই দাবি করেছেন অভিযোগকারী স্বপন রায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের এবং জগন্নাথ হলের আবাসিক ছাত্র। ২০১৫ সালের এপ্রিলে সমকামিতার অভিযোগে সনেটকে পিটিয়ে হলছাড়া করার অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে নিজের দাবির পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন স্বপন রায়। তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- “সত্য লুকিয়ে মিথ্যা প্রচারে আমার শিক্ষা জীবন এখন হুমকির মুখে। গতরাত, সাড়ে তিনটার সময়, টিএসসিতে একা চা খাচ্ছিলাম। তখন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ঢাবি শাখার সভাপতি আল সনেট ভাই এসে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন, আমি পরিচয় দিলাম, আমি স্বপন রায়, জগন্নাথ হল, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ প্রথম বর্ষ। পরিচয় দেবার পর আমাকে বলে বাইকে উঠো, চা খেয়ে আসি, আমি তাকে আগে থেকেই চিনতাম তাই নির্দ্বিধায় তার বাইকে উঠলাম। তিনি আমাকে রমনা পার্কে নিয়ে গেলেন। নিয়ে যাওয়ার কিছু সময় কথা বলার পর তিনি আমাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়ে যান, এরপর অগ্নি শিখার এক কোণে নিয়ে আমাকে কুপ্রস্তাব দেন এবং জবরদস্তি করেন। তখন আমি বুঝতে পারি, তিনি সমকামী। তারপরে আমি বাঁচার উদ্দেশ্যে তাকে মিথ্যা বললাম, ভাই আমার কালকে এক্সাম আছে, আমাকে হলে গিয়ে ঘুমাতে হবে।
বাইকে উঠে জগন্নাথ হল গেটের সামনে এসে বাইক থামান এবং উনি আবার অশ্লীল কিছু ইংগিত করেন। তখন রাগের মাথায় কয়েকটা থাপ্পড় মারি। আর উনি মার খাওয়ার ভয়ে বাইক ফেলে বাইকের চাবি নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।
এর ঠিক কয়েক মিনিট পরেই হল ক্যান্ডিডেট লিটন বাড়ৈ দাদাকে জানাই। সেই সময়ে হল সংসদের এজিএস অতুনু বর্মন দাদাকেও জানাই। তারা বিষয়টি জানার পরে, বাইকের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য বাইকটা হলের ভিতরে রাখতে বলেন। এরপরেই আমি, হল সংসদের ভিপি উৎপল বিশ্বাস দাদা,আমার গ্রুপের লিডার রঞ্জন রায় রাজেশ দাদা,সাংস্কৃতিক সম্পাদক কাঞ্জিলাল রায় জীবন দাদা আর হল ক্যান্ডিডেট সত্যজিত দেবনাথ দাদা দের বিষয়টি জানাই।
পরে সনেট ভাই সম্পর্কে আরও জানতে পারি যে পূর্বে একই ঘটনার জন্য তাকে এফ আর হল থেকে বের করা হয়েছিল।
আল সনেট সাংবাদিকদের বলেন, তারা আমাকে মেরে দাঁত ভেঙে দিয়ে বাইক নিয়ে চলে গেছে। এখন নাটক সাজিয়েছে। বাইকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো হাতে পাইনি। এ ব্যাপারে তিনি আইনি সহায়তা নেবেন বলে উল্লেখ করেন সনেট। সমকামিতার অভিযোগে হল থেকে বিতাড়িত হয়েছেন- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অপবাদ ছাড়া কিছুই নয়। আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন