বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দেওয়া অভিযোগের মূল কপি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, গালমন্দ ও ভয় দেখানোয় জীবন নাশের শংকায় আছেন এমন অভিযোগ তুলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. আলী আসগরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেছেন বিভাগের শিক্ষক ড. খাইরুল ইসলাম।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন প্রত্যাহার না করলে প্রভাব খাটিয়ে ক্ষতি করবেন অভিযোগ তুলে জিডি করেছিলেন প্রফেসর আসগর। মঙ্গলবার নগরীর মতিহার থানায় ড. মো: খাইরুল ইসলামের জিডি নং ৫৩৪।
প্রফেসর খাইরুল ইসলামের জিডিতে উল্লেখ করেন, “গত ৫ নভেম্বর প্রফেসর ড. আলী আসগরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দুইটি অভিযোগ দাখিল করি। একটি অভিযোগে ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দেওয়া, অন্যটিতে প্রফেসর আলী আসগরের অসৌজন্যমূলক ও অসদাচরণ প্রসঙ্গে।
এই অভিযোগ প্রশাসনের কাছে দাখিলের পর ৬ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাদশ সমাবর্তন সম্পর্কিত একটি যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য পরিবহন প্রশাসক ও আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকে যায়। সেখানে ড. আলী আসগরকে পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আলী হায়দার দেখতে পান। আমাকে বললেন আমিও দেখলাম।”
জিডিতে আরো বলা হয়, “এদিকে পরে কাজ সেরে বিজ্ঞান কারিগরি কারখানার দিকে রওনা দেই। আলী আসগর আমার পিছন থেকে অনুসরণ করছিলেন সেটি আমি বুঝতে পারিনি। ১টা বেজে ১৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের কোনে প্রফেসর ড. আলী আসগর সাহেব দৌড়ে এসে গালমন্দ করতে থাকেন এবং তার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত তথ্যবলীর মূলকপি তাকে দিয়ে দিতে বলে। দাখিলকৃত অভিযোগ তুলে না নিলে তার পক্ষে যা করা সম্ভব সবকিছুই করবেন বলে আমাকে ভয় দেখায়।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যে শিক্ষক প্রভাব খাটিয়ে নীরিহ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে দিতে পারে সে জীবননাশের মতো ঘটনাও ঘটাতে পারে। তার বর্তমান চলাফেরা গতিবিধি-সেটাই প্রমাণ করে। তাই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ড. আলী আসগর বলেন, আমি জিডি করার পর সে জিডি করেছে। প্রফেসর ড. খাইরুল ইসলাম জিডিতে যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। এর বাইরে কোনো কথা বলতে চাননি।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন