‘এটা কোন ধরনের ফাইজলামি! চারদিন পর আজ যাওবা ফলাফল ঘোষণা করা হলো তাও আবার আংশিক। পরীক্ষায় কতজন পাস নম্বর বলা হলেও সরকারি মেডিকেল কলেজে কারা চান্স পেল তা এখনও জানতে পারছি না। রাত ৮টা কখন বাজবে সে অপেক্ষায় বসে আছি। এবার পাশ বেশি কিন্তু আশ (আশা) কম।’
মঙ্গলবার জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের মোবাইল নম্বরে ফোন করে এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থীর মা ক্ষোভ মিশ্রিত কণ্ঠে দুশ্চিন্তার কথা জানান।
আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গত ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এমবিবিএস প্রথম বর্ষ (২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৬৯ হাজার ৪০৫ জনের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেয়ে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৪১৩ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ২২ হাজার ৮৮২ জন ও নারী ২৬ হাজার ৫৩১ জন।
গত বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) অংশগ্রহণকারী মোট ৬৩ হাজার ২৬ জনের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেয়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হন ২৪ হাজার ৯৬৮ জন।
তবে গত বছরের তুলনায় এবার দ্বিগুণ সংখ্যকের চেয়ে শিক্ষার্থী পাস করলেও অভিভাবকরা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। কারণ সবার প্রথম ইচ্ছে সরকারি মেডিকেল কলেজে সন্তানকে পড়ানো। বিশেষ করে যারা অপেক্ষাকৃত গরিব তাদের চিন্তা বেশি।
এ বছর সরকারি ৩৬টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা মাত্র ৪ হাজার ৬৮টি। আর বেসরকারি ৭০টি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা ৬ হাজার ২৮১টি। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মেডিকেলে মোট আসন সংখ্যা ১০ হাজার ৩৬১টি। সরকারি মেডিকেল কলেজে খরচ নামমাত্র। আর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে সর্বনিম্ন ১৮ লাখ থেকে ৩০-৩৫ লাখ টাকা খরচ। এ কারণে অভিভাবকরা সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষায় ফলাফল প্রকাশের অপেক্ষা করছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন