নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন।
আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনা বিষয়ে তিনি বলেন, যে কোনো জায়গায় এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।
বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে উপাচার্য বুয়েটের হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনে নিহত আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে কুষ্টিয়ার রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান।
সেখান থেকে আবরারের বাড়ি যাওয়ার সময় স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন উপাচার্য।
পরে অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম মুখোমুখি হন উপস্থিত গণমাধ্যমের সামনে।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আবরারের মামার কথা হয়েছিল। আমি তাদের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার সঙ্গে প্রভোস্টসহ অনেকে ছিল, তাদের বের করতে পারছিলাম না। আমাকে সব ঊর্ধ্বতন মহলকে জানাতে হয়। মুম্বাইয়ে থাকা শিক্ষা উপমন্ত্রী জানেন, আমি তার সঙ্গে সারা দিন যোগাযোগ করেছি। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমার লাইনটা কাজ করছিল না। পরে এসে দেখি জানাজার নামাজ শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং আমার তরফ থেকে কোনো ত্রুটি ছিল না।
বুধবার বুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে এসে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন উপাচার্য সাইফুল ইসলামের পদত্যাগ দাবি করেন।
এ প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। গত ৩৬ ঘণ্টা আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম। প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্যই আমি জানাজার নামাজে আসতে পারিনি।
রোববার রাতে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একটি কক্ষে নির্যাতনের শিকার হন আবরার। পরে রাত ৩টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, হল প্রভোস্টরা রাত ৩টা থেকে কাজ করেছেন। আমি রাত ১টার দিকে ওদিক থেকে ঘুরে এসেছি। তখন আমি কিছু তো জানি না সেখানে কিছু হচ্ছে। নির্যাতনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে, আমরা তদন্ত করে এর ব্যবস্থা নিয়েছি।
ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে তিনি একমত জানিয়ে বলেন, ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়েছি। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আবারো বলেন, আমার পদত্যাগের কোনো কারণ নাই। যে কোনো জায়গায় এমন ঘটনা ঘটতেই পারে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন