জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চলের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলা সংঘর্ষ প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় শান্ত হয়েছে।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে জাবি প্রক্টরসহ অন্তত ৬ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটে।
এদিন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাজিব আহমেদ রাসেল ক্যাম্পাসে তার স্ত্রীকে নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। এসময় বর্তমান সম্পাদক চঞ্চল নেতাকর্মীদের নিয়ে রাসেলকে মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজিবের অনুসারীরা হল থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে বের হয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের হলে হামলা চালাতে যায়। এসময় দুগ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধে। শুরু হয় গুলি বিনিময়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা এসে দুই গ্রুপের সাথে কথা বলে তাদেরকে শান্ত করে। এখন উভয় গ্রুপ ফিরে গেছে।
আহত কয়েকজনের মধ্যে আছেন উৎস (৪৫ ব্যাচ), রনি (৪৭ ব্যাচ), সাজ্জাত (আইআইটি), বাহার (আইআইটি), মোস্তফা (অর্থনীতি)।
প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তাতে যে কোনও মুহূর্তে আবার সংঘর্ষ বাঁধতে পারে। তাই আমরা পুলিশ মোতায়নের চিন্তা করছি।’
এখন পর্যন্ত জানা মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি হলের নেতাকর্মীরা এই সংঘর্ষে অংশ নেয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শহীদ সালাম বরকত হল, মওলানা ভাসানি হল, শহীদ রফিক জব্বার হল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, আল বেরুনী হল।
এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে রাজিব ভাইয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দেখা। আমি দেখে ওনাকে বলি- আপনি আসলে ক্যাম্পাসে নেতাকর্মদের মাঝে উত্তেজনা তৈরি হয়, তাই আপনি চলে যান। এই কথা বলার পর ওনি ওনার অনুসারীদের ডেকে নিয়ে আমার ওপর হামলা করতে আসলে আমি চলে আসি। পরবর্তীতে তারা আমার হলে এসে আবারও হামলা চালায়। পরে হলের ছেলেপেলে তাদেরকে প্রতিরোধ করে। রাজিব আহমদকে কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’
ব্রেকিংনিউজ/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন