ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। যদিও কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এই ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ক্যাম্পাসের বাইরে মোট ৮১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে প্রশ্ন এবং সাথে উত্তরের ১৪ পৃষ্ঠা হাতে লেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। সাংবাদিকরা সেগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও সহকারী অধ্যাপক সোহেল রানাকে দেখান। পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সাথে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হুবহু মিলে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, বাংলায় ১৯টি, ইংরেজিতে ১৭টি এবং সাধারণ জ্ঞান ৩৬টি (বাংলাদেশ ১৬, আন্তর্জাতিক ২০) মিলে মোট ৭২টি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।
এ ছাড়াও সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে হাতের লেখা প্রশ্নের একটা স্ক্রিনশট পাওয়া যায়৷ অথচ পরীক্ষা শুরু হয় সকাল ১০টায়। যদিও এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন অামাদেরকে কেউ জানায়নি৷ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, পরীক্ষা শেষে ব্রিফিংকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা চলাকালীন কেউ অভিযোগ করেনি।
পরীক্ষা চলাকালে ফাঁস হওয়া প্রশ্নটি একজন সহকারী প্রক্টরকে দেখানো হয়েছে সাংবাদিকদের এমন বক্তব্যের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন, তাহলে আমরা সেটি খতিয়ে দেখব।
এর আগে গতবছর ২০১৭-২০১৮ সালে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ১ বছর পার হলেও প্রকাশ করা হয়নি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।
প্রক্টর দাবি করেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি, তবে ডিভাইস জালিয়াতি হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেটি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন