ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, জীবিত মুজিবের চেয়েও মৃত মুজিব এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।
আজ বুধবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী কুচক্রী মহল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। শিশু-কিশোর-যুবকসহ সকল বয়সের মানুষের মাঝে আজ বঙ্গবন্ধুর জীবন- দর্শনের প্রভাব প্রবাহিত হচ্ছে। জীবিত মুজিবের চেয়েও মৃত মুজিব এখন অনেক বেশি শক্তিশালী।’
উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের একটি ঘৃণ্য দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমণের কথা ছিল। তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে সাজ সাজ রব চলছিল। কিন্তু তার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা হয়নি। এর আগেই ঘাতকদের নির্মম বুলেটে তাকে শাহাদাৎ বরণ করতে হয়।’
মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শিশুরা আজ বঙ্গবন্ধুর ছবি, ৭ মার্চের ভাষণের ছবি, তার দৈনন্দিন জীবনের ছবি আঁকছে। গ্রাম, গঞ্জ, পাড়া, মহল্লা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে।’ ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। এর মধ্যে ছিল, সব ভবন ও হলে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।
এ সময় উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং চারুকলা অনুষদ আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
আজ বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ প্রত্যেক হল ও আবাসিক এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবরসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা প্রাতিষ্ঠানিক ইউনিট কমান্ড, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য দেন।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন