আপত্তিকর অবস্থায় আটক হওয়ার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে বুয়েট ছাত্রলীগের এক নেতাকে গণধোলাই দেয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে তাকে ধোলাই দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম তাহমিদ আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের ১৪ব্যাচের শিক্ষার্থী ও আহসানউল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের আহসানউল্লাহ হল ইউনিটের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনের বেঞ্চে তাহমিদ তার বান্ধবীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় বসে ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন তার পরিচয় জানতে চাইলে সে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে এবং জোর গলায় চিৎকার করে। তার চিৎকার শুনে আশেপাশের শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হয়। পরে নিরাপত্তাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাকে নিরাপত্তা অফিসে যেতে বলে। তাকে ধরে নিরাপত্তা অফিসে যাওয়ার সময় সে নিজেকে বুয়েট ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেয়। এক পর্যায়ে সে আক্রমণাত্মক আচরণ করতে শুরু করে। এ সময় উপস্থিত সকলে তাকে থামাতে গেলে সে জাবির এক শিক্ষার্থীর বুকে লাথি মারে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থী গণধোলাই দেয় তাকে।
পরে বেলা ১২টার দিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে নিরাপত্তা অফিসে নিয়ে যায়। এ সময় মুচলেকা নিয়ে তার বান্ধবীর জিম্মায় তাহমিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, সে সাধারণ শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় শিক্ষার্থীরা তার উপর উদ্ধত হয়েছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন