এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে প্রথম হয়েছে আবু মুসা শান্ত, দ্বিতীয় মহিউদ্দিন আহমেদ। দু’জনই ঢাকার নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী। আর সম্মিলিত মেধা তালিকায় সপ্তম এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নওশিন নাওয়াল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পর ঢাকা বোর্ডে শীর্ষে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের মেধা তালিকা পাওয়া গেছে।
২০০১ সাল থেকে এসএসসি এবং ২০০৩ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতির প্রচলন হয়। ওই সময় থেকে বোর্ডের মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া শীর্ষ ২০ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশও বন্ধ করে দেয় শিক্ষা বোর্ড। দু’ পরীক্ষাতেই প্রথম কয়েক বছর জিপিএ-পাঁচ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কম হলেও কয়েক বছরের মধ্যে হিসাবটা লাখের ওপরে উঠে যায়। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে সেরাদের সেরা কারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডে গত কয়েক বছর চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে শীর্ষ মেধাবী তালিকা চেয়ে আবেদন করা হলেও নাম জানা যায়নি। এ বছর আবারো আবেদন করলে চ্যানেল আইয়ের কাছে এসএসসির পর এইচএসসিতেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের শীর্ষ ১০ তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭শ’ ৬০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম হয়েছে নটরডেম কলেজের শান্ত।
একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা আবু মুসা শান্তর বাবা বলছেন, এর চেয়ে খুশির সংবাদ আর কিছুই নেই।
এইচএসসিতে এবার দ্বিতীয় হয়েছে নটরডেম কলেজেরই মহিউদ্দিন। যে ২৯ হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ-ফাইভ পেয়েছে তার মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি নটরডেমের।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে সম্মিলিত মেধা তালিকায় সপ্তম এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম নওশিন বলছে, নিয়মিত লেখাপড়াই ভালো রেজাল্টের একমাত্র চাবিকাঠি।
শীর্ষ ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ভিকারুননিসার নওশিন ছাড়া আর সবাই নটরডেম কলেজের। এ মেধাবীরাসহ এইচএসসি উত্তীর্ণদের সামনে এখন উচ্চশিক্ষার ভর্তিযুদ্ধ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন