রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোচিং সেন্টার ও গাইড বই মুক্ত ভর্তি পরীক্ষা হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী যা পড়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সেই অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য অন্য কিছু পড়া লাগবে না।
আসন্ন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে জানতে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান এরকমই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এমসিকিউ পরীক্ষা মেধার কোনো মূল্যায়ন হয় না। তাই এমসিকিউ পদ্ধতি বাদ দিয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পরীক্ষায় জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। শিক্ষার্থীরা কানের মধ্যে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে সুযোগ নেয়। এটা করার কোনো সুযোগ থাকবে না। আমি সর্বপ্রথম এমসিকিউ পরীক্ষা বাদ দিয়ে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত মেধাবীদের ভর্তির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও এমসিকিউ পরীক্ষা বাদ দিয়ে লিখিত পরীক্ষার নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।’
‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজারো সংকটময় অবস্থা বিরাজ করলেও মেধাবীদের পছন্দের তালিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যতম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গত তিন বছরে বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, শিক্ষার নিবিড় পরিবেশের কারণে শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আগ্রহী। তাছাড়া জায়গা কম হওয়ায় অন্য কোন কাজে তাদের জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।’
‘বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা আগের মতো হবে না। কোন বিশেষ ইস্যুতে লিখতে দেওয়া হবে। এইবার চারটি বিভাগে আলাদা করে দরখাস্ত করতে হবে। তাদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য তিনজন শিক্ষক আলাদা আলাদা মার্ক দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীদের নূন্যতম যোগ্যতা থাকলে ভর্তি করা হবে। তাদের জন্য কোন সিট বরাদ্দ থাকবে না, যারা আগ্রহী হবে তাদের কে ভর্তি করা হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন