জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণতা ঘিরে ধরতে পারে, থমকে যেতে পারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হতাশার এই সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা সাহায্য করতে পারে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। বিয়ে বিচ্ছেদ হয় প্রায় দশ বছর আগে। অথচ এখনও আমি কাউকে বিশ্বাস করতে পারি না। এদিকে পরিবার থেকে আবার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। সব মিলিয়ে হতাশ লাগে খুব।
উত্তর: অন্যকে অবিশ্বাস করে সুখী হওয়া যায় না! অন্যকে ক্ষমা না করে শান্তিও পাওয়া যায় না। নিজের প্রতি আস্থা থাকলে অন্যকে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটিই করা লাগে না। নিজেকে নিজের ভালো-মন্দ বৈশিষ্ট্যসহ মেনে নিতে পারলে অন্যের প্রতি অভিযোগও থাকে না। নিজের প্রতি আস্থাশীল হওয়ার এবং নিজেকে মেনে নেওয়ার সকল উপাদান আপনার মধ্যে আছে। প্রয়োজন যথাযথ কাউন্সেলিং।
প্রশ্ন: আমি খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের। কোনও কাজ ঠিক মতো করার পরও মনে হয় বুঝি ঠিক মতো হলো না। বাসায় তালা লাগিয়ে নিচে নেমে যাওয়ার পর আবার ফিরে এসে দেখি যে ঠিক মতো লাগিয়েছি কিনা। আবার বাইরে গিয়ে মনে হয় ঠিক মতো গ্যাসের চুলা বুঝি বন্ধ করিনি। আমার অস্থির লাগতে থাকে। কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো?
উত্তর: মনোবল থাকলে আপনি নিজেই এ সমস্যা থেকে বের হতে পারেন। বাইরে বের হবার পরে তালা বা গ্যাসের চুলা চেক করার জন্য ফিরে আসা যাবে না, যাই মনে হোক না কেন। এ সময় ব্রিদিং এক্সারসাইজ করবেন। প্রথম কয়েক মিনিট খুব অশান্তি লাগবে, তারপর প্রশান্তি অনুভব করবেন। মনোবলের ঘাটতি থাকলে কাউন্সেলিং বা মেডিকেশন লাগবে। নন্-ইনভেসিভ ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন থেরাপি এক্ষেত্রে অনেক কার্যকর।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন