চলছে শীতের মৌসুম। এই সময়ে নানা রোগের উপদ্রব হয়। তার মধ্যে একটি হলো একজিমা বা চর্মরোগ। এই রোগটি শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে। অনেকে চর্মরোগীকে এড়িয়ে চলেন। ভয় পায় যে এই রোগটি তারও হতে পারে।
আসলে এই ব্যাপারটা ভালোভাবে অনেকেই জানেন না। তাই এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জেনে নেওয়া যাক।
চর্মরোগ আসলে কী?
বিজ্ঞানে এই রোগকে অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়। এই রোগে শুধু চুলকানি হয় তা নয়। শরীরের যেখানে রোগটা হয়, সেই জায়গা রীতিমতো লাল হয়ে যায়। অনেক সময় লাল জায়গায় র্যাশের মতো দানা দানাও দেখা যায়। এখান থেকেই চুলকানির সমস্যাটা বাড়ে।
চিকিৎসকের মতে, চর্মরোগ নানারকম চেহারা নিতে পারে। তবে চুলকানির সমস্যা সবক্ষেত্রেই দেখা যায়। অনেকের আবার এই দানা দানা র্যাশ চাক চাক আকারে থাকে। এমন একের বেশি চাক দেখা যায় শরীরে। চিকিৎসা না করালে শরীরের অন্য জায়গাতেও দেখা দিতে পারে।
কেন এই রোগ হয়?
দুটি কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে। শরীরের ভেতরের কিছু কারণে এই রোগ হতে পারে। আবার বাইরের জলহাওয়ার কারণেও চর্মরোগ হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চমৃরোগের প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে জিনের থেকেও এই রোগ হতে পারে। পরিবারে আগে কারও চর্মরোগের সমস্যা থাকলে অন্য সদস্যেরও হতে পারে।
অনেকের মতে, এর জন্য জিন দায়ী নয়। দায়ী হলো বাইরের জলহাওয়া ও ধুলাবালি। আমাদের ত্বক শরীরের সব অঙ্গগুলো বাঁচিয়ে রাখে। তাই একেই বাইরের ঝড়ঝাপটা সামলাতে হয়। জলবায়ু শুষ্ক হলে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়া বাইরে বেরোলে নিয়মিত বাতাসের ধুলাবালি আমাদের ত্বকে লাগে। এর থেকেও এই চর্মরোগ হতে পারে।
এই রোগটি কী সংক্রমক?
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সতর্ক হয়ে পড়লে চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। তবে অনেকের ধারণা, রোগটি একজনের থেকে আরেকজনের ছড়াতে পারে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি মোটেই সংক্রমক রোগ নয়।
তাই চর্মরোগ হয়েছে এমন কাউকে দেখলেই তাকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং নিশ্চিন্তে তার কাছে যাওয়া যেতে পারে।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন