স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ঢাকায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটায় টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রেও সবার আগে প্রাধান্য পাবে ঢাকা। খসড়া তালিকার তথ্য অনুসারে প্রথমে আসা ৫০ লাখ ডোজ টিকা থেকে ঢাকা জেলায় থাকবে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ ডোজ। আর বিভাগওয়ারি হিসাবে মোট তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫০ লাখ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩০ লাখ, রাজশাহী বিভাগে ২০ লাখ, রংপুর বিভাগে সাড়ে ১৬ লাখ, খুলনা বিভাগে ১৬ লাখ, সিলেট বিভাগে সাড়ে ১০ লাখ, বরিশাল বিভাগে সাড়ে আট ও ময়মনসিংহ বিভাগে পাঁচ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
জেলা হিসাবে দিনাজপুরে তিন লাখ, কুড়িগ্রামে দুই লাখ, লালমনিরহাটে এক লাখ, গাইবান্ধায় আড়াই লাখ, নীলফামারীতে দুই লাখ, পঞ্চগড়ে এক লাখ, ঠাকুরগাঁওয়ে দেড় লাখ, হবিগঞ্জে দুই লাখ, মৌলভীবাজারে দুই লাখ, ফরিদপুরে দুই লাখ, গাজীপুরে সাড়ে তিন লাখ, গোপালগঞ্জে সোয়া এক লাখ, জামালপুরে আড়াই লাখ, কিশোরগঞ্জে তিন লাখ, মাদারীপুরে সোয়া এক লাখ, মানিকগঞ্জে দেড় লাখ, মুন্সীগঞ্জে দেড় লাখ, নারায়ণগঞ্জে তিন লাখ, নরসিংদীতে আড়াই লাখ, নেত্রকোনায় আড়াই লাখ, রাজবাড়ীতে এক লাখ, শরীয়তপুরে সোয়া এক লাখ, বান্দরবানে ৫০ হাজার, ভোলায় পৌনে দুই লাখ, ঝালকাঠিতে ৭০ হাজার, পটুয়াখালীতে দেড় লাখ, পিরোজপুরে সোয়া এক লাখ, বরগুনায় এক লাখ, বরিশালে আড়াই লাখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন লাখ, চাঁদপুরে আড়াই লাখ, চট্টগ্রামে তিন লাখ, কুমিল্লায় সাড়ে পাঁচ লাখ, কক্সবাজারে আড়াই লাখ, সিরাজগঞ্জে সোয়া তিন লাখ, রংপুরে তিন লাখ, খাগড়াছড়িতে ৬০ হাজার, ল²ীপুরে পৌনে দুই লাখ, নোয়াখালীতে সোয়া তিন লাখ, রাঙামাটিতে ৬০ হাজার মানুষ টিকা পাবে।
এ ছাড়া বাগেরহাটে দেড় লাখ, চুয়াডাঙ্গায় এক লাখ, যশোরে পৌনে দুই লাখ, পাবনায় আড়াই লাখ, রাজশাহীতে পৌনে তিন লাখ, সুনামগঞ্জে আড়াই লাখ, সিলেটে সাড়ে তিন লাখ, ঝিনাইদহে পৌনে দুই লাখ, খুলনায় আড়াই লাখ, কুষ্টিয়ায় দুই লাখ, মাগুরায় এক লাখ, মেহেরপুরে ৭০ হাজার, নড়াইলে ৮০, সাতক্ষীরায় দুই লাখ, বগুড়ায় সাড়ে তিন লাখ, জয়পুরহাটে এক লাখ, নওগাঁয় পৌনে তিন লাখ, নাটোরে পৌনে দুই লাখ মানুষসহ ৬৪ জেলায় টিকা দেওয়ার খসড়া নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকা দান) শামসুল হক বলেন, ‘কোন জেলায় কত টিকা যাবে এমন কিছু এখনো আমরা চূড়ান্ত করতে পারিনি। আমরা শুধু বেক্সিমকোকে আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি তালিকা ও যোগাযোগের নম্বর দিয়েছি। যাতে করে বেক্সিমকো ওই কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোথায় টিকা রাখা হবে তা ঠিক করতে পারে।
এদিকে গত বুধবার থেকে শুরু হয়েছে টিকাদানকারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রশিক্ষক গ্রæপের প্রশিক্ষণ। চিকিৎসকদের ২৫ জনের একটি প্রশিক্ষক দল নিজেরা করোনার টিকা দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। পরে তাঁরা অন্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ‘এখনো আমরা কোন কোন জেলায় আগে টিকা যাবে, সেটা চ‚ড়ান্ত করিনি। তবে আমাদের ভাবনা রয়েছে বড় ১০টি শহরবেষ্টিত জেলায় আমরা টিকা পাঠাব। এ ক্ষেত্রে যেখানে বেশি সংক্রমণ রয়েছে, সেদিকটিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন