করোনা প্রতিরোধের টিকা প্রাণিদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে সফলতা মেলার তিন মাস পরও মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি পায়নি গ্লোব বায়োটেক।
দেশীয় প্রতিষ্ঠানটির অভিযোগ, অনুমোদন সংস্থা বিএমআরসি ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নীরবতার কারণেই বঙ্গভ্যাক্স নামের টিকাটি পরের ধাপে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত অনুমোদন মিললে, মে-জুনের মধ্যেই বাজারজাত সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে গ্লোব।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার করোনাভাইরাসের টিকা ঠিক সময়ে পাওয়া নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক বলছে, দেশের অনুমোদন সংস্থার আন্তরিকতার অভাবে বঙ্গভ্যাক্স টিকা এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
সেপ্টেম্বরে প্রাণিদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকার মতই ফল পাওয়ার কথা জানিয়েছিল গ্লোব। এরপর মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আইসিডিডিআরবির সঙ্গে চুক্তি করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি, যদিও ডিসেম্বরের গোড়াতেই সে চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। পরে সিআরও বাংলাদেশ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেও এখনও বিএমআরসি এবং ওষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি পায়নি গ্লোব। ফলে মানবদেহে বঙ্গভ্যাক্সের পরীক্ষামূলক প্রয়োগও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
গ্লোব বায়োটেক জানায়, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সামনের যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালটা বাকী আছে বাংলাদেশে আমরাই সেটি প্রথম করছি। এতে কিছু বাধা-বিপত্তি থাকবেই। কারণ নতুন কিছু করতে হলে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।
অনুমোদন সংস্থার নীরবতায় ক্ষুব্ধ হলেও গ্লোব বায়োটেক বলছে, দ্রুততম সময়ে অনুমতি মিললে মে-জুনের মধ্যেই বাজারজাত করা সম্ভব হবে বঙ্গভ্যাক্স। সরকার যদি মনে করে ইমার্জেন্সি হলে আমাদের এই ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়া যায় তাহলে আমরা খুব দ্রুত এই ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবো।
অনুমোদন মিললেই বাকি সব প্রক্রিয়া এগিয়ে নিত প্রস্তুত থাকার জানিয়েছে গ্লোব বায়োটেক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন