করোনা মহামারিতে থেমে গেছে গোটা বিশ্ব। পৃথিবীতে যত মহামারি এসেছে তার মধ্যে করোনা আলোচিত ভয়াবহ! তবে এর তীব্রতার চেয়ে আতঙ্ক কয়েকগুন বেশি। করোনার কারণে অনেক দেশে চলছে লকডাউন। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাচ্ছে না কেউ। বাড়িতে বসে অনেকে অফিসের কাজও করছে। তবে এতো কিছুর মূলে করোনা ভাইরাস। প্রতি মুহূর্তে গতি পাল্টাচ্ছে ভাইরাসটি। আর মানুষের মনে জন্ম নিচ্ছে নতুন আতঙ্ক। করোনা আতঙ্কে অনেকে বাড়ির দরজা মারাচ্ছেন না। কেউ বা দরজা খুলতে হাতের পরিবর্তে কুনই ব্যবহার করছেন।
এত সতর্ক থেকে চলার পরও বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনায় সবচেয়ে প্রভাবিত যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা ৪০ জন ডায়বেটিকস রোগী। অন্যদিকে ফরাসি এক গবেষণা থেকে জানা যায়। করোনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন করোনায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ নতুন করোনা ভাইরাস সৃষ্ট এমন এক ব্যাধি যা; হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা এবং ডায়াবেটিস বা বহুমূত্রের মতো দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। সংক্রমণের পর রোগীর পুর্বাপর শারীরিক অবস্থা এবং বয়স অনুসারে, তা প্রাণ সংশয়ের মাত্রাও বাড়ায়।
ফরাসি এক গবেষণা জানায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রতি ১০ জন ডায়াবেটিক রোগীর মধ্যে একজন ৭ দিনের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারেন। গবেষণাটি টাইপ-১ এবং টাইপ-২ নামের দুই ধরনের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব নতুন আলোকে তুলে ধরে।
১৩০০ রোগীকে পর্যবেক্ষনের পর গবেষকরা দেখেন, সাতদিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের ১৮ শতাংশ বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো সুস্থ হয়ে ওঠেন, কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের আরও দীর্ঘসময় ধরে এজন্য অসুস্থ থাকতে হয়। বিশ্বমারির মাঝে জনস্বাস্থ্যে ডায়াবেটিসের প্রভাব নিরূপণে এটি ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান।
এর ভিত্তিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ডায়াবেটিক রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ কোষগুলো বেশ ধীর গতিতে উদ্দীপ্ত হয়। প্রতিরোধে অক্ষমতার একারণে সংক্রমণের জীবাণুরা শেষ লড়াইয়ে জয়ী হয়।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন