ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে ৫ জুলাই নথিসহ বৈঠক করেন ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ প্রকল্পের তিন বিজ্ঞানী। বৈঠকে কিটের এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের পরামর্শ দেয় ঔষধ প্রশাসন। আইসিডিডিআরবি ও বিএসএমএমইউর যেকোন একটিতে এটা করতে বলা হয়।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিটের সেনসিটিভিটি ছিলো ৬৯ শতাংশ। ঔষধ প্রশাসন দেয়া নীতিমালা অনুযায়ী এটা ৯০ করতে হবে। এখন তারা তৃতীয় কোন পক্ষের মাধ্যমে ভ্যালিডেশন করালে হয়ে যাবে।
‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’ কিট প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার বলেন, এই মুহূর্তে আইসিডিডিআর বি’ বা বিএসএমএমইউ’র কিট ভ্যালিডেশনের কারিগরী ব্যবস্থাপনা নেই। ভ্যালিডেশন শুরু করতে আরও অন্তত দুই মাস লাগবে।
তিনি জানান, ঔষুধ প্রশাসন অ্যান্টিবডি কিটের ‘প্যানেল টেস্ট’ করিয়ে আনতে বলেছে। এই টেস্টের মেশিন বাংলাদেশে নেই। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দুই/তিনটি দেশে এটা আছে। এ টেস্ট করতে হলে কিট নিয়ে সেদেশে যেতে হবে কিংবা মেশিন কিনে আনতে হবে। এর দাম ৪৫ লাখ টাকা। এছাড়া নীতিমালও এ ক্ষেত্রে একটা বাধা। আমদানী করলে শুধু ভ্যালিডেশন করলেই চলবে। সেনসিটিভিটির কথা বলা হয়নি। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করলে লাগবে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন এবং সেনসিটিভিটি থাকতে হবে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন