গণিতের চক্রবৃদ্ধি হারের চেয়েও দ্রুত বাড়ছে করোনায় মৃত্যু। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী আর উন্নত দেশগুলোর মাথা নুয়ে পড়ছে করোনা মোকাবিলায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীর এত উন্নতি সাধনের পরও করোনা বিস্তার ঠেকানোর কোনও পথ ও পন্থা এখনও কেউ আবিষ্কার করতে পারেনি। একেক পক্ষ থেকে একেক মত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছে না- কিভাবে কিংবা কোন প্রতিষেধকে নির্মূল হবে করোনা ভাইরাস।
তবে এরইমধ্যে ৪টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়ে ২০টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় কাজ শুরু করেছে কানাডা। ওই ৪ প্রতিষেধকে ভরসা রেখে বিশ্বের সব খ্যাতনামা হাসপাতালগুলোও চিকিৎসায় অংশ নিচ্ছে।
জানা গেছে, এপ্রিলের শুরু থেকেই কানাডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ হেলথ রিসার্চ করোনার চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এ খাতে বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় ধরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি বিভাগের অধ্যাপক ড. রবি, ফোলার বলেছেন, ‘এমন কিছু ওষধু যেগুলো আগে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো, কিছু আবার এইচ আইভির চিকিৎসায়, কিছু ইবোলার মতো ভাইরাসের টিকা হিসেবে। আমরা এবার এরকমই ৪টি সম্ভাব্য প্রতিষেধক নিয়ে টরেন্টোর সানিব্রুক হাসপাতালে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছি।’
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগের বিশ্বের অন্তত ৬টি দেশ করোনার ওষুধ আবিষ্কারে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে মহামারি করোনা মোকাবিলায় ওষুধ তৈরিতে বিশ্বব্যাপী যে তোড়জোড় চলছে এটাকে সংস্থাটি সোলিডারিটি বলে আখ্যায়িত করেছে।
ড. রবি, ফোলার মনে করছেন, তারা যেভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছেন তাতে করে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে ১ বছর সময় লাগতে পারে।
ড. ফোলার নিজেদের ভাগ্যবান উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে অনেক রোগীর শরীরে এরইমধ্যে ওষুধ প্রয়োগ করছে। তাতে করে ওষুধের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছি। আমরা কানার অন্তত ৪০০ রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে ওষুধ দেয়ার জন্য বাছাই করেছি।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন