সুস্থ হওয়ার পরেও একজন রোগী ১০-১৫ দিন ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে। তাই এই সময়টা আবারো এডিসের কামড় হতে পারে আরো ভয়ঙ্কর। বিপদ ডেকে আনতে পারে আশপাশের মানুষের। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া রোগীদের বেশী সতর্ক থাকতে বলছেন, সফররত সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ডা. মো. তৌফিক ইসলাম।
ঢাকায় এসে সময় সংবাদকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এবারের ডেঙ্গু পরিস্থিতির ভয়াবহতার জন্য অসচেতনতাকেই দায়ী করলেন তিনি।
চলতি বছর দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ছাপিয়েছে সব রেকর্ড। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ৫১ হাজার ৪৭৬। মৃতের সংখ্যা ৪০।
এমন বাস্তবতায় ঢাকায় সফররত সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ডা. মো. তৌফিক ইসলাম সময় সংবাদের মুখামুখি হয়ে জানান, কিভাবে ডেঙ্গুতে সাফল্য পেয়েছে দেশটি। বলেন ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতনতা আর কমিউনিটি লেভেলের কার্যক্রমেই মুল চাবিকাঠি।
ডা. মো. তৌফিক ইসলাম বলেন, 'ওখানে প্রতিটি নাগরিকের ঘরে ঘরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট দেয়া হয়। এছাড়া সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে যে বাসায় যেনো মশার লার্ভা জন্ম না নেয়। সেখানে সপ্তাহে এবং মাসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভিজিট করে, তারা যদি লার্ভা পায় তাহলে জরিমানা হয়।'
ন্যাশনাল গাইড লাইনের প্রশংসা করলেও, তিনি বলেন ডেঙ্গু মোকাবিলায় দক্ষতা দেখিয়েছেন এদেশের চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতাল থেকে ফিরেও ১০-১৫ দিন ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে একজন রোগী তাই ঐ সময়টাতেও থাকতে হবে সাবধানতায়। এক্ষেত্রে এ বিষয়ে কাউন্সিলিং এর পরামর্শ এই বিশেষজ্ঞের।
ডা. মো. তৌফিক ইসলাম বলেন, 'যে রোগী হাসপাতাল থেকে চলে যাচ্ছে তার মধ্যে ভাইরাস থাকে ১০ থেকে ১২ দিন। তাকে কিন্তু কোনো পরামর্শ দেয়া হয় না। এই সময় যদি তাকে ডেঙ্গু মশা আবার কামড় দেয় তাহলে অবস্থা খুবই মারাত্মক হবে।'
এসব পরামর্শ আমলে নিয়ে নতুন পরিকল্পনার কথা জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, 'মানুষকে তার নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে হবে। হাসপাতাল থেকে মুক্ত হওয়ার পরেও ভুললে চলবে না যে আমার কারণে অপরজন আক্রান্ত হতে পারে। কাজেই এই ধরনের পরমার্শ আরও দেয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো।'
ডেঙ্গু পরিস্থিতি তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদী তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন