মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুর বারোটা থেকে বুধবার (২৬ জুন) বারোটা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপালাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৫ জন। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ততটা তৎপর নয় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, এমনটাই অভিযোগ বাসিন্দদের। তবে এসব নাকচ করে ডিএসসিসি বলছে শিগগিরই বড় পরিসরে মাঠ নামছে তারা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪১নং ওয়ার্ড। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্ষার আগে করা জরিপে দুই সিটি করপোরেশনের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। অথচ এই এলাকাতেই এখনো চারদিকে ছড়ানো আবর্জনার ভাগাড়, পরিত্যক্ত টায়ারসহ সহজেই পানি জমার অসংখ্য আধার। এক পশলা বৃষ্টিতেই পানি জমছে এসব জায়গায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, দু’বেলা ওষুধ ছিটানোর বাইরে নেয়া হয়নি তেমন কোনো পদক্ষেপ। যদিও তা মানতে নারাজ স্থানীয় কাউন্সিলর।
সিটি করপোরেশনের আশ্বাস হঠাৎই মারাত্মক হতে যাওয়া এডিস নিয়ন্ত্রণে নেয়া হচ্ছে আরো নতুন পদক্ষেপ।
ডিএসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদ বলেন, সেন্ট্রাল র্যালি হবে, ওয়ার্ড ভিত্তিক র্যালি হবে, স্কুলের বাচ্চাদের কাছেও যাবো।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুর বারোটা থেকে বুধবার বারোটা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হাসপালাতে ৫৫ জন নতুন করে আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ নিয়ে এবারে মোট রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১শ' ৬৭ জন। এর মধ্যে ৩২ জন ঢাকা মেডিকেলে, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২১, মিডফোর্ডে ২২, পিলখানার বিজিবি হাসপাতালে ১৭ জন ভর্তি রয়েছেন।
যদিও এদের মধ্যে মারাত্মক রোগীর সংখ্যা অনেক কম। তবে ডেঙ্গু মোকাবিলায় হাসপাতালগুলো প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢামেকে’র সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন বলেন, এই মৌসুমে সাধারণত যে পরিমাণ রোগী আসে, তার চেয়ে বেশি রোগী পাচ্ছি এবার।
দুই দিনের বেশি জ্বর দেখা দিলেই চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ তাদের।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন