জিম থেকে ডায়েট, দৌড়ঝাঁপ থেকে প্রিয় জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা ওজনের ভয়ে কত কিছুই না করতে বাধ্য হই আমরা। শরীরকে ছিপছিপে রাখাই শুধু নয়, সুস্থ রাখতেও চেহারা থেকে বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলা ছাড়া উপায় নেই। তাই ওজন কমানোর চেষ্টায় কমবেশি শামিল হই আমরা সকলেই।
শরীরচর্চা, ব্রেকফাস্ট বাদ না দেয়া, নো কার্বস ডায়েটে অভ্যস্ত হওয়া, পর্যাপ্ত পানি, প্রয়োজনীয় ঘুম— এ সব স্বাস্থ্যকর অভ্যাস না হয় বজায় রাখলেন। কিন্তু জানেন কি, মেদ ঝরানোর মন্ত্র কেবল এটাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও কমিয়ে ফেলতে পারেন শরীরের বাড়তি চর্বি।
ঘুমের আগে-পরে কিছু নিয়ম মানলেই মেদহীন চেহারা গঠনে এগিয়ে থাকবেন অনেকটা। জানেন সে সব কী কী?
রাতের খাওয়া সেরে নিন ঘুমোতে যাওয়ার চার ঘণ্টা আগেই। যত রাত বাড়তে থাকে, আমাদের বিপাক হার তত কমতে থাকে তাই বেশি রাতে খেলে খাবার হজম না হয়ে অন্য রোগ যেমন ডেকে আনে, তেমনই ফুলিয়ে দেয় শরীরও।
কাজ থেকে বাড়ি ফিরে সন্ধ্যার দিকে শরীরচর্চা করতে পারলে তা খুব কাজে আসে। এতে খাবার বিপাকহার বাড়ে। ফলে ঘুমানোর সময় কমে যাওয়া বিপাক হারকে নিয়ন্ত্রণ করে তা খাবার হজমে সাহায্য করে।
ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে এক কাপ গরম দুধ খান। রাতে দুধ হজম হয় না— এই মিথ ভাঙুন। দুধে আলাদা করে কোনো সমস্যা না থাকলে রাতে দুধ হজমে কোনো সমস্যা তো হয়ই না, উল্টে শরীরে বিপাক হার বাড়ায় তা।
লবণ নয়। রাতের খাবারেও বাড়তি লবণ নয়। পানি শরীরে জমার সময় লবণের সোডিয়ামের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে। তাই লবণ কমালে শরীরে বাড়তি পানি জমে যাওয়ার প্রবণতা তৈরিই হবে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরের আবহাওয়াকে ঠাণ্ডা রাখুন। ঠাণ্ডা ঘরে ঘুমালে ঘুম ভাল হয় ও ক্যালরি পোড়ে বেশি। এসির হাওয়ায় সরাসরি না ঘুমিয়ে, ঘুমানোর আগে ঘণ্টাখানেক এসি চালিয়ে ঘরকে ঠাণ্ডা করে নিন। তারপর এসি বন্ধ করে, দরকারে একটা পাখা হালকা করে চালিয়ে ঘুমান। এসি না থাকলে সন্ধ্যা থেকেই বেডরুমকে নানা প্রাকৃতিক উপায়ে ঠাণ্ডা রাখুন।
সন্ধ্যার পর থেকে আর কোনো চা-কফি-ঠাণ্ডা পানীয় বা মদ পান নয়। উত্তেজক পানীয় যেমন শরীরের স্নায়ুগুলিকে উদ্দীপ্ত করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, তেমন ঠাণ্ডা পানীয় ভীষণভাবে মেদ বাড়ায়। মদপানে ভালো ঘুম হয়— এমন ধারণার বশবর্তী হলে সে অভ্যাস বাদ দিন। এতে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনাই বাড়ে। এক সময় মদ ছাড়া আর ঘুম আসবে না। তা ছাড়া মদপানও শরীরে মেদ বাড়ায় হু হু করে, সঙ্গে অন্যান্য ক্ষতি তো আছেই।
পালাবদল
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন