আগুনে পোড়া ক্ষত সারাবে তেলাপিয়া মাছ। ছবি সংগৃহীত
তেলাপিয়া মাছ সারা বছরই বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অনেকে বাণিজ্যিকভাবে এই মাছ চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন। অনেকের কাছে এই মাছ অনেক জনপ্রিয়।
পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু স্বাদেই নয় তেলাপিয়া মাছ পুষ্টিগুণের জুড়ি নেই। তেলাপিয়া মাছে আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাসসহ একাধিক অপরিহার্য উপাদান। তবে আপনি জানেন কি? আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষত সারাতেও তেলাপিয়া মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ব্রাজিলীয় চিকিৎসকরা জানান,শরীরের পুড়ে যাওয়া অংশে তেলাপিয়া মাছের ছাল ব্যান্ডেজের মতো লাগিয়ে রাখলে পুড়ে যাওয়া ক্ষতস্থান খুব তাড়াতাড়ি সেরে যায়। শুধু ক্ষত শুকায় তা না, ক্ষতস্থানের যন্ত্রণাও কমে যায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, তেলাপিয়া মাছের ছালে কোলাজেন প্রোটিনের টাইপ ‘১’ ও টাইপ ‘৩’। ফলে আগুনে পুড়ে ক্ষতস্থান ও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ক্ষতকে (থার্ড ডিগ্রি বার্ন কেস) খুব সহজে সারিয়ে তুলতে পারে। চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।
২০১৬ সালে এক ব্রাজিলীয় মৎস্যজীবীর আগুনে পুড়ে যাওয়া হাতের চিকিৎসা করতে গিয়ে তেলাপিয়া মাছের ছালের এই আশ্চর্য গুণ জানা যায়। ব্রাজিলীয় মৎস্যজীবীর নাম অ্যান্টোনিও সান্টোস।
জানা যায়, অ্যান্টোনিও সান্টোসের নৌকায় থাকা একটি গ্যাসের টিন ফেটে ডান হাতের অধিকাংশটাই পুড়ে যায়। ওই মৎস্যজীবীর চিকিৎসা করা হয় ব্রাজিলের ফোর্টালেজ এলাকার একটি হাসপাতালে। চিকিৎসক এডমার ম্যাসিয়েল অ্যান্টোনিওর হাতের পুড়ে যাওয়া অংশে তেলাপিয়া মাছের ছালের প্রলেপ লাগিয়ে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে চিকিৎসা শুরু করেন।
অ্যান্টোনিও সান্টোসের চিকিৎসা করার পরে অনেকের ওপরেই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা চালানো হয়। এখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে এই খবর। বিকল্প ছাল দিয়ে (আক্রান্তের শরীরের অন্যান্য অংশের চামড়া বা ছাল দিয়ে) দগ্ধ অঙ্গ সারিয়ে তোলার পদ্ধতি দীর্ঘদিনের।
এখন এই চিকিংসা পদ্ধতিতে নতুন সংযোজন হল তেলাপিয়া মাছের ছাল।
সূত্র:জি নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন