ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপির মেয়াদউর্ত্তীর্ণ ওষুধ ভারত থেকে এনে সেগুলো নতুন মেয়াদ দিয়ে বাজারে বিক্রি করছে ফার্মেসিগুলো। এসব কেমোথেরাপি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ব্যবহারের সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা রোগী দ্রুতই মৃত্যুর দিকে ঝুকে পড়ে। এছাড়া সরকারি হাসপাতালের ট্যাগ লাগানো বিনামূল্যের ওষুধও ফার্মেসিগুলো বিক্রি করছে দেদাড়ছে।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শুরু হয়ে এখনও অভিযান চলছে। অভিযানে প্রায় এক কোটি টাকার বিনামূল্যের সরকারি ওষুধ জব্দ করা হয়। এছাড়া তিনটি ডিস্পেন্সারি, তিনটি গোডাউন ও একটি বাড়ি সিলগালা করে দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ব্রেকিংনিউজকে বলেন, র্যাব-২ ও বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসনের সদস্যদের সহযোগিতায় দুপুর থেকে মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, নকল ও সরকারি ওষুধ রাখার অভিযোগে দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ক্যান্সারের ওষুধ পাওয়া গেছে যেগুলো সব নকল ওষুধ। এরপরেও অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য ওষুধগুলো আগামীকাল ল্যাব টেস্টে দেয়া হবে।
সারওয়ার আলম বলেন, অভিযানে দোকাওনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সরকারি হাসপাতালের ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এসব ওষুধের মূল্য প্রায় এক কোটি টাকার কাছাকাছি। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মাধ্যমে জানা গেছে এখানকার স্থানীয় দুটি সরকারি হাসপাতালের কতিপয় স্টাফ, কর্মকর্তা ও বাইরের কিছু লোকের মাধ্যমে এই কাজগুলো করেছে। এ কারণে একজনকে এক বছর ও আরেকজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হিয়েছে। একইসাথে দুই জন মালিক পলাতক আছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি দোকানের গোডাউন থেকে প্রচুর পরিমানে প্যাথিডিন ও মরফিন এগুলো মাদক আইটেম। মাদকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স দোকানগুলোতে পাওয়া যায়নি। যারা নেশা করে তারাই এই মূল ক্রেতা বলে জানা যায়। এদের বিরুদ্ধে মাদক আইনেও আরেকটা মামলা করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, নকল ক্যান্সারের ওষুধ রোগীর শরীরে দেয়ার পর রোগীর কি অবস্থা হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে র্যাব ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, একজন মুমূর্ষু রোগীর শরীরে নকল ওষুধ ব্যবহার করলে তার আরেকটা সাইড ইফেক্ট তৈরি হবে। এর ফলে রোগী সুস্থ হওয়ার বদলে মৃত্যুর মুখে ঝুকে পড়বে। পাশাপাশি রোগীটি আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন