টাকা দিলে সুস্থ, নইলে অসুস্থ! মধ্যপ্রাচ্যগামীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে এমন হয়রানি চলছে, গাল্ফ এপ্রুভ মেডিকেল সেন্টার এসোসিয়েশন বা গামকা অনুমোদিত রোগ নির্ণয়কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া, রোগ থাকার পরও, এ সব কেন্দ্রে টাকার বিনিময়ে মেলে, সুস্থতার সার্টিফিকেটও।
কাজের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যেতে ইচ্ছুক লোকজনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক। যা করাতে হয় গামকা অনুমোদিত রোগনির্ণয়কেন্দ্র থেকে।
প্রায় একমাস ধরে, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানে মিলেছে এই খাতের নানা অনিয়ম। তাতে এক পর্যায়ে তথ্য আসে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পজিটিভ মিরসরাইয়ের এক যুবক নির্ধারিত ছয় হাজার টাকার পরিবর্তে ৪৮ হাজার টাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে ফিট রিপোর্ট নিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর মেডিকেয়ার মেডিকেল সেন্টার থেকে। আর এটি করেছেন স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই। তবে, ওমানে যাওয়ার পর রোগ ধরা পড়ায় তিনমাসের মাথায় দেশে ফিরে আসতে হয় তাকে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হয়রানির শিকার ফেনীর আরেক যুবক। ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রতারণার শিকার হয়ে সবশেষ সিলেটে বাড়তি টাকা দিয়ে ফিট সার্টিফিকেট নেন তিনি। হয়রানির শিকার ফটিকছড়ির নুরুল ইসলাম এবং রাউজানের গিয়াস উদ্দিনও।
শুধু তারাই নন, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মধ্যপ্রাচ্যগামীরা। তাতে সবকিছু ঠিক থাকার পরও অসুস্থ দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, আবার রোগ থাকা সত্ত্বেও টাকার বিনিময়ে মেডিকেল ফিট রিপোর্ট দেয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। যা স্বীকারও করেন দালালদের কেউ কেউ।
এমন অনিয়মের কথা স্বীকার করলেও তার দায় নিতে নারাজ ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলি।
তবে এমন অনিয়ম খতিয়ে দেখার কথা বলছে গামকার মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম মামুন। আর প্রবাসী মন্ত্রনালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান বলছেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে কাউকেই ছাড় নয়।
চট্টগ্রামে গামকা অনুমোদিত রোগ নির্ণয়কেন্দ্র রয়েছে ১২টি। যেখানে মাসে গড়ে পাঁচ হাজার মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মী স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন