যে কয়টি ফল দেখলে মুখে পানি চলে আসে, দেখতেও সুন্দর লাগে, তার মধ্যে বেদানা অন্যতম। একটা বেদানা খুললে সেটির মিষ্টি লাল রঙের দানা আসলেই মুগ্ধ করার মতো। শুধু কি দেখতেই ভালো? বেদানার রস আমাদের শরীরের জন্য যে কতো ভালো তা আমরা ভাবতেও পারি না। একাধিক মারণ রোগ প্রতিহতের পাশাপাশি বেদানা শরীরের বিভিন্ন খুটিনাটি সমস্যার সমাধান করবে।
চুল পড়া কমায়
অতিরিক্ত চুল পড়া আমাদের সবারই সমস্যা। এ থেকে বাঁচতে যাই করেন না কেন, খাওয়াদাওয়াতেও একটু সচেতন হোন। এজন্য প্রতিদিন বেদানার রস খেতে থাকুন। এতে করে চুল পড়া তো কমবেই, সেই সঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বেড়ে যাবে অনেকখানি।
ত্বকের সুন্দর হবে
গবেষণা মতে, প্রতিদিনের ডায়েটে বেদানা রাখলে ত্বকের ভেতরে পরিবর্তন হতে শুরু করে। ফলে মুখের বলিরেখা কমে যেতে থাকে। আর সেই সঙ্গে ত্বকের ডার্ক স্পট এবং ডার্ক সার্কেলও চলে যেতে থাকে। ফলে ত্বকে বয়সের কোনো ছাপ পড়ে না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
শুনতে অবাক লাগলেও গবেষণায় প্রমাণিত যে, নিয়মিত কাঁচা বেদানা বা বেদানার রস খেলে ব্লাড ভেসেলের প্রদাহ কমে যায়। সেই সঙ্গে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচতে অবশ্যই বেদানা খাওয়ায় মনোযোগী হোন।
রক্তস্বল্পতার চিকিৎসায় কাজে আসে
বিশ্বে প্রতি বছর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রক্তস্বল্পতার প্রকোপ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আপনি বেদানা খেতে পারেন। কারণ বেদানায় রয়েছে প্রচুর আয়রন, যা লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তস্বল্পতার সমস্যা চলে যায়। বিশেষত মেয়েদের এই ফলটি বেশি করে খাওয়া উচিৎ।
দাঁত ভালো থাকে
বেদানা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ। ফলে এই ফলটি খেলে মুখ গহ্বরের ক্ষতিকর জীবাণুরা ধ্বংস হয়। এতে ক্যাভিটির মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে
বেদানা খেলে ডায়বেটিসের প্রকোপ অনেকখানিই কমানো যায়। বেদানা খেলে রক্তে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো ভয়াবহ রোগের প্রকোপও কমে যায়।
হৃদপিণ্ড ভালো রাখে
বেদানার রস শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়ায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। বেদানায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও নানাভাবে হার্টের দেখভাল করে।
শরীরের জয়েন্টের সচলতা বাড়ে
শরীরে যখন ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমতে শুরু করলে ক্ষতিকর এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে জয়েন্টের সচলতা কমতে থাকে। সেই সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে পড়। অস্টিওআর্থ্রাইটিস মতো রোগ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও বেদানা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। এনজাইমের কারণে হাড়ের ক্ষয় হয়, সেটার ক্ষরণ কমিয়ে আর্থ্রাইটিসকে প্রতিহত করতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন