তালিকায় কে কে আছেন? ইতিমধ্যে একান্ত আলাপে একে অপরকে প্রশ্ন করছেন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা। কেউ কেউ এই সরকারের আমলে জাতীয় সংসদের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন- তাদের নামও শোনা যাচ্ছে।
বিশেষ করে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বা আছেন- অতিরিক্ত আইজি, ডিআইজি, রেঞ্জ ডিআইজি, র্যাব কর্মকর্তাসহ এমন একাধিক কর্মকর্তার নামও ভেতরে ভেতরে জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। অবসরে গেছেন, কিন্তু অতীতে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তারাও আছেন ভিসানীতির আওতায়।
নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরাও কি এই ভিসানীতির আওতায় আছেন? এটা নিয়ে খোদ প্রশাসন ক্যাডারে কৌতূহল আছে।
শুধুই কি মন্ত্রী বা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা আছেন, তারাই পড়বেন এ ভিসানীতির আওতায়- তা জানার আগ্রহও আছে বেশ। এসব নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বত্রই চলছে কথাবার্তা।
শুধুই কি সরকারি দল? কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে আছে বিএনপি ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। দলগুলোর নেতাদের মধ্যেও মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় কারা কারা আছেন- তা নিয়ে নানান আলোচনা চলছে।
ঢাকা টাইমস সম্পাদক সূত্রে জানতে পেরেছে, একজন প্রতিমন্ত্রীও আছেন এই তালিকায়।
গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছিল- বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
একপর্যায়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশির ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ শুরুর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।
তবে বাংলাদেশি কোন কোন ব্যক্তির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেই তালিকা প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। বলা হচ্ছে- মার্কিন নীতি অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয় না। তবে যার যার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তাকে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণা আসার পর শুক্রবার রাতে এর প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধের আওতায় পড়াদের সংখ্যার বিষয়ে আমাদের একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে এটুকু বলতে পারি সেই সংখ্যাটা খুব বড় নয়, ছোট। এ ব্যাপারে আমরা মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।’
বিরোধী দল বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, এখনও কিছু বলেনি। অতীতে নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে যখন আলোচনা করেছিলাম তখন দুটি রাজনৈতিক দলের কথা উঠেছিল। এর একটি বিএনপি, অপরটি জামায়াত।
অন্যদিকে শনিবার দিনভর আলোচনায় ছিল এই ভিসানীতি। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে চায়ের দোকান পর্যন্ত চলছে আলোচনা। নানা প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন