জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘ঋণনির্ভর ও অন্তঃসার শূন্য’ বলে আখ্যায়িত করেছে খেলাফত মজলিস। এই বাজেটকে ‘গণবিরোধী বাজেট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে মাওলানা আবদুল বাছিত ও আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে সাধারণ জনগণের কোনও কল্যাণ হবে না। ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে দেশ-বিদেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। বিশেষ করে দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেবে। এতে বেসরকারি ও ব্যক্তিগত খাতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। বাজেট ব্যয়ের বিশাল অংশ খরচ হবে ঋণের সুদ পরিশোধে। বাজেট ব্যয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর খাত হচ্ছে সুদ পরিশোধ। পরিচালন ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মতো অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। আর প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাস্তবসম্মত নয়। ঋণ নির্ভর বাজেটের কারণে জনগণের ওপর জাতীয় ঋণের বোঝা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ সংকটে নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেশের রিজার্ভের পরিমানও দিন দিন কমে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা। প্রস্তাবিত এ বাজেট দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে কোনও ভূমিকা রাখবে না, বরং নতুন করে বহু জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। গৃহস্থালীর জিনিসপত্র, কলম-সহ শিক্ষা সামগ্রী, পেট্রোল, অকটেন, ডিজেলের দাম বাড়বে। বিশাল বাজেটে করের আওতা ও হার বাড়ানো হয়েছে। বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী করমুক্ত আয়সীমার নিচে আয় থাকলেও টিআইএনধারী সবাইকে দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। অথচ সব টিআইএনধারীর কর দেওয়ার সামর্থ নেই। দিন শেষে জনগণকেই সব করের বোঝা বহন করতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন