মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘ভিসা নীতি’ ঘোষণায় জেগে উঠেছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। দলটির সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নেতাকর্মী-সমর্থকরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। এখন রাজপথে নির্যাতনের শিকার হলেই ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি (জেলার ডিসি, এসপি, উপজেলার ইউএনও, ওসি এবং ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপি-নেতা) তালিকা করা হবে। পরবর্তীতে সেগুলো কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন দূতাবাসে পাঠানো হবে। দলটির তৃর্ণমূল পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানান, মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর দিনই কেন্দ্র থেকে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেখানেই কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হবে সেটির দালিলিক প্রমাণ সংরক্ষণ করার জন্য, প্রয়োজনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দেয়ার। এছাড়া বিগত নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী বিভিন্ন কর্মকর্তার তথ্য, হামলা-মামলা, নির্যাতন, গুমের তথ্য ও প্রমাণও দেশি-বিদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশী দূতাবাসগুলো সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক নেতা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এমন নির্দেশনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, এবার তারা আর ২০১৮ সালের মতো শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, ‘শেখ হাসিনার অধিনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। সে নির্বাচনে বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে। নির্বাচনে বাধা দেয়া হলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসা নীতির আওতায় পড়বে’। আমরা (বিএনপি) এবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। আর আমাদের সভা-সমাবেশে এতোদিন পুলিশ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ মিলে আক্রমণ করেছে; এখন করা হলে সেগুলো ভিডিও করে যায়গা মতো পাঠিয়ে দেয়া হবে। তবে এটাও ঠিক বিএনপি এখন আর রাজপথে মার খাবে না। যেখানে যেমন সেখানে তেমন পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় যে কোন বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়- তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। এর মধ্যে আছে- ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য সহিংসতাকে কাজে লাগানো এবং এমন কোন পদক্ষেপ- যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা সংবাদমাধ্যমকে তাদের মত প্রচার থেকে বিরত রাখা।
নতুন এই ভিসা নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা এটাকে (যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি) ওয়েলকাম করছি এই কারণে যে, এটা হচ্ছে বাংলাদেশের এই মুহুর্তে মানুষের যে শঙ্কা নির্বাচনকে নিয়ে, অন্তত এই ধরনের একটি পদক্ষেপ আমি মনে করি আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, এখানে যাদের কথা বলেছে, একেবারে সরাসরি যাদের কথা বলেছে এবং তাদেরকে যে ম্যানশন করেছে- এটা একটা বড় পদক্ষেপ। এটা তাদের জন্য বড় ম্যাসেজ। এই ম্যাসেজ না নিয়ে আবারো যদি বাংলাদেশের ভোটচুরির প্রক্রিয়ায় তারা যদি অ্যাবহতভাবে কাজ করতে থাকে তাহলে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে তাদের চিন্তা করা দরকার।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে যে আন্দোলন করছেন এবার সেটি আলোর মুখ দেখবে বলেও মনে করেছেন তারা। ওই ঘোষণায় যেহেতু ভোটে কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শনের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ বাধা প্রদান এবং সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে সেটিকেই কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। এজন্য ইতোমধ্যে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেখানেই বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা প্রদান, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হবে সেটির দালিলিক প্রমাণ সংরক্ষণ করার জন্য, প্রয়োজনে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দেয়ার। এছাড়া বিগত নির্বাচনে দায়িত্বপালনকারী বিভিন্ন কর্মকর্তার তথ্য, হামলা-মামলা, নির্যাতন, গুমের তথ্য ও প্রমাণও দেশি-বিদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিদেশী দূতাবাসগুলো সংগ্রহ করছেন বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক নেতা।
দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে না, দিনের ভোট রাতে হয়ে যায় এমন অভিযোগে ভোটাধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে আন্দোলন-কর্মসূচি চালিয়ে আসছে দলটি। এমনকি দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নেই, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এজন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় তারা। তাদের চলমান এই আন্দোলনের মধ্যে মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণাকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন দলটির নেতারা। তারা মনে করছেন, ক্ষমতাসীন সরকার এতোদিন যেভাবে দিনের ভোট রাতে, ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান, প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে না দেয়া, সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা এবং গায়েবি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা ও গ্রেফতার করা হতো তা সেটি এখন কঠোর নজরদারির মধ্যে চলে আসবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী একাধিক নেতা বলেন, বিএনপিসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করছে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন যে সম্ভব নয়, সেটা দেশে-বিদেশে প্রমাণিত হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন ও অন্যটি আগের রাতের নির্বাচনের পর নতুন করে এটি প্রমাণ দেয়ার প্রয়োজন নেই। তাই আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ হতে হলে অবশ্যই একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে। এই দাবি আদায়েই মাঠে রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর দাবি আদায়ের আন্দোলন করতে গিয়ে বিগত ৮-১০ মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, মামলা, নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোতে কিভাবে বাধা দেয়া হয়েছে তা সকলেই দেখেছে। ভিসা নীতিমালায় সেই বিষয়টিও সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। তারা বলেন, বিএনপি চায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে এবং ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেরকম একটি নির্বাচন। যেটি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সম্ভব নয়।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, মাঠের আন্দোলনের পাশাপাশি এখন ভার্চুয়াল মাধ্যমকেও কাজে লাগাতে চায় তারা। এ লক্ষ্যে তাদের প্রতিটি কর্মসূচি ফেসবুক, ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচার করছে। এছাড়া টুইটারসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সরকারবিরোধী নানা ইস্যুতে সক্রিয়া থাকছে নেতাকর্মীরা। এর পাশাপাশি নতুন কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে-দেশের যেকোন স্থানে কর্মসূচি পালনে কোন ধরণের বাধা প্রদান করা হলে সেটির ভিডিও কিংবা ছবি সংরক্ষণ করতে। এজন্য প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় গঠন করা হয়েছে একাধিক টিমও। বিএনপির প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগ, পুলিশ কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরণের সহিংসতা, হামলা, বাধা ইত্যাদি আসলেই সেটির দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহ, সংরক্ষণ করবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রের পাশাপাশি বিদেশী মিশন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির দ্বায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানান, গত শুক্রবার ঢাকা জেলা বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে কেরাণীগঞ্জে বিএনপির ওপর হামলা, খাগড়াছড়িতে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের গাড়িতে হামলার পর বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা ঘটনার তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন। একই সঙ্গে বিগত দিনগুলোতেও যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো পৌঁছে দেয়া হয়েছে তাদের হাতে।
এছাড়া ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালনকরা ডিসি, এসপি, ইউএনও/টিএনও, ওসি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের তালিকাও চেয়েছে প্রভাবশালী একটি দেশের দূতাবাস। তাদের পাশাপাশি বিএনপির যেসব নেতাকর্মী গুম হয়েছে সেসব এলাকার এমপি, এসপি ও ওসিদেরও তালিকা চেয়েছে কয়েকটি দূতাবাস ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
বিএনপির কয়েকটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, বেশকিছুদিন থেকেই তাদের জেলায় হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটলেই সেসব বিষয়ে দূতাবাস ও দেশী-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলো যোগাযোগ করছেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তারা জানতে চাচ্ছেন, কোন তথ্য-প্রমাণ থাকলে তাও দিতে বলছেন। তারাও এসব তথ্য-প্রমাণ ইতোমধ্যে সরবরাহ করেছেন।
তারা আরো জানান, নানা পর্যায় থেকে নির্দেশনা আছে যারা বিগত দিনে গুম, খুন, হামলা নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য সরবরাহ করতে।
যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড. সাবেরুল হক সাবু বলেন, মার্কিন নীতি ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। তারা এখন নিজেরাই বিভিন্ন ভিডিও, ছবি, তথ্য-উপাত্ত মার্কিন দূতাবাস, স্টেট ডিপার্টমেন্টসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইমেইলে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপি রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করছে। যেকোন কর্মসূচিতে লাখ লাখ মানুষ ছুটে আসছে। সরকারের প্রতি যে তাদের আস্থা নেই সেটি আমাদের সভা-সমাবেশগুলো লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন। এর পাশাপাশি ভার্চুয়াল মাধ্যমকেও আমরা কাজে লাগাচ্ছি। যে কোন ধরণের সহিংসতা, হামলার ঘটনা ঘটলে এবং কারা জড়িত আমরা সেটি ভিডিও করে সংরক্ষণ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি যে আন্দোলন করছে এটিতে সম্পৃক্ত হয়ে এগিয়ে নেয়া সকল দেশবাসীর দায়িত্ব। এজন্য সকলে সর্তক থাকবেন, সবার হাতে মোবাইল ফোন আছে যে যেখানে কোন ধরণের সহিংসতা করবে সেটির ভিডিও কিংবা ছবি ধারণ করে প্রকাশ করতে পারেন, তা সম্ভব না হলে বিএনপির মিডিয়া সেল, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইমেইলেও পাঠাতে পারেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি হামলা হলে হামলাকারীর ছবি, দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারদের ছবিসহ ভিডিও করে রাখবেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর যখনই কোন হামলা হয়, নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয় তার তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন দূতাবাস ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সংগ্রহ করে। এছাড়া অনেকেই নিজেদের উদ্যোগেই দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেয়। যা নানা মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে যায়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এখন কোন ঘটনায় লুকানোর সুযোগ নেই, কারা জড়িত তাও সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়া আমাদের নেতাকর্মী, মিডিয়া সেল, বিদেশ বিষয়ক যে কমিটি আছে তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেন। যেকোন ঘটনা ঘটলে তথ্য-প্রমাণ নানা মাধ্যমেই চলে আসে। সকলেই সচেতন আছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন