রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কার্যালয়ের সামনের সড়কে রোড ডিভাইডারের পাশে এ বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। কে বা কারা এই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পুলিশ কাউকে আটকও করেনি।
নয়াপল্টনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের নির্দেশিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর যৌথ প্রযোজনা। ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে বানচাল করার জন্য পুলিশের একটা মাস্টারপ্ল্যান।’
ককটেল বিস্ফোরণের পর কার্যালয়ে অবস্থান করা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা সরকারকে দায়ী করেন। সন্ধ্যার পর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। কার্যালয়ে আটকে পড়া নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জানান, কার্যালয় থেকে বের হলেই তারা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে।
ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ বানচাল করতে সরকারের লোকজন এসব করেছে। অতীতেও তারা এমনটা করেছে। বারবার একই নাটক জনগণ খাবে না। জনগণ বোকা নেই।'
বিএনপি কার্যালয়ের পাশে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘ককটেলটি চলন্ত কোনো যানবাহন থেকে নিক্ষেপ করা হতে পারে। কে বা কারা মেরেছে তা খেয়াল করতে পারিনি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন