বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যোগপৎ আন্দোলনে যোগ দিতে চাইলে সবার জন্যই দরজা খোলা রয়েছে। বৃহত্তর ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ শুরুর পর বিএনপি মহাসচিব এই কথা জানালেন। তিনি বলেন, যোগপৎ আন্দোলনে যোগ দিতে সংলাপে অংশ নিতে সব দলের জন্য দরজা খোলা আছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের দ্বিতীয় ধাপে রোববার (২ অক্টোবর) প্রথম বৈঠকে ছিল বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সাথে। বৈঠকে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে বিএনপির সাথে একমত হয়েছে দলটি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠকে অংশ নেন মির্জা ফখরুল এবং কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।
সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, যুগ্ম মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাহবুবুর রহমান শামিম, সেক্রেটারি জামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু হানিফ, সেক্রেটারি আবু ইউসুফ সুমন।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, এই অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলাম। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু করেছি। আজ আমরা বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির সাথে বসেছিলাম।
তিনি বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করব। আন্দোলনের দাবিগুলোর সাথে আমরা একমত হয়েছি। দাবিগুলো হচ্ছে- নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন, একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। আন্দোলনে কাউকে গ্রেফতার ও কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা না দেয়া হয় সেই ব্যাপারে একমত হয়েছি।
মির্জা ফখরুলের সাথে যোগ করে কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ধর্মীয় অঙ্গনে আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে দেয়া হয়েছে। তাদের মুক্তির ব্যাপারেও আমাদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বিএনপি ও কল্যাণ পার্টি কোনো অবস্থাতেই ধর্মীয় অঙ্গনে নেতাদের উপর অত্যাচার-নিপীড়নকে অবহেলা করছে না। আমরা সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।
যুগপৎ আন্দোলনের তারিখ না জানালেও তিনি বলেন, চমক আছে। আপনারা প্রস্তুত থাকতে পারেন। আমি মুক্তিযোদ্ধা, আমি মনে করি এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম- সেটা আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ। আমরা সবাই মিলে লড়ব, জয়ী হব। জয় ব্যতীত অন্য কিছু নাই। কল্যাণ পার্টি যুগপৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত।
দ্বিতীয় দফার সংলাপে জাতীয় পার্টির থাকবে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, সময় হলে জানতে পারবেন। সবার জন্য দরজা খোলা রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন