মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে আহত যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম শাওন (২৬) মারা গেছেন। মাথায় পুলিশের গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হন বলে বিএনপি দাবি করে। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যান।
রাতে দেশ রূপান্তরকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
তিনি বলেন, সন্ধ্যার পরে শাওন মারা গেছেন। আমরা হাসপাতালে যাচ্ছি।
আমাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিনিধি জানান, রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় শাওনের।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইসিইউর কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাব্বির।
তিনি জানান, ২৩ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন সাওন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।
সাওনের ছোট ভাই সোহানুর রহমান সোহান জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরের মীরকাদিম পৌরসভার মুরমা গ্রামে। বাবার নাম ছোয়া আলী ভূইয়া। পেশায় শাওন মিশুক (অটোরিকশা) চালক ছিলেন। পাশাপাশি মীরকাদিম পৌরসভার যুবদলের কর্মী ছিলেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে শাওন ছিল বড়। স্ত্রী সাদিয়া আক্তার ও এক বছরের ছেলে আবরারকে নিয়ে গ্রামে থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বুধবার সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় শাওনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার মাথায় আঘাত ছিল। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
বুধবার মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আহতরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৪০), তারেক (২০) ও শাওন (২৬)।
এদের মধ্যে জাহাঙ্গীরকে মিরপুর ডেন্টাল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর তারেক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাওনকে জরুরী বিভাগের আইসিইউতে রাখা হয়।
আহত সাওনের বন্ধু নাহিদ খান জানান, যাত্রী নিয়ে সমাবেশে গিয়েছিলেশাওন। তখন আহত হয়েছেন। শাওনের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন শাওন।
বুধবার মুন্সীগঞ্জে বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন শাওন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন। সেদিন বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন