ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকার করেছেন, অধিক মুনাফার জন্য কেউ কেউ দ্রব্যমূল্য অতিরঞ্জিত করছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির ও চট্টগ্রামের জেএম সেন হলে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে দাবী করে তিনি বলেন, সব দেশেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আমাদের যে জিনিসগুলো আমদানি করতে হয়, তার প্রতিটির দাম বেড়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে কিছুটা কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ফলে কিছু জিনিসের দাম বেড়ে গেছে, যেটা স্বাভাবিকভাবে বাড়ার কথা নয়। কেউ কেউ আবার অধিক মুনাফার জন্য কিছু অতিরঞ্জিত করছে।
শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কখনো নিজের ভেতরে হীনমন্যতা রাখবেন না। নিজেকে আলাদা ভাববেন না। এই মাটিতে যাদের জন্ম তারা নিজেদের মতো করে নিজেদের ধর্ম পালন করবে। তিনি বলেন, আমরা মানবধর্মে বিশ্বাস করি। আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাই করতেন।
পবিত্র কোরআনেও রয়েছে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। কোনো ধর্মের ধর্মগুরু কখনো সংঘাত চাননি। শান্তি চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ধর্মেই কিছু মানুষ থাকে যারা একেকবার একেকটি সমস্যা তৈরির চেষ্টা করে। তবে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেই। কোনো ঘটনা ঘটার পর বিদেশিদের কাছে এমনভাবে প্রচার করা হয় যেন আমাদের দেশে সনাতন ধর্মের মানুষের অধিকার নেই। কিন্তু ঘটনার পর আমরা যে ব্যবস্থা নেই সেটি আর প্রচার হয় না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন