গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘দেশে ত্রাণের জন্য হাহাকার, খাবারের জন্য হাহাকার, কিন্তু সরকার সেদিকে কর্ণপাত না করে গণমাধ্যমসহ সমস্ত কিছুকে ব্যস্ত রেখেছে এক পদ্মা সেতু নিয়ে। সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে বাড়াবাড়ি ও অতিকথন করেছে- তাতে জনগণ বিরক্ত।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ১০ লাখ লোকের সমাগম করার জন্য সরকার গত ২ মাস ধরে প্রচারণা চালাচ্ছে স্কুল-কলেজ থেকে সব জায়গায় নির্দেশনা দিয়েছে কিন্ত সেই অনুষ্ঠানে ১ লাখ লোকও উপস্থিত ছিলো না- তাতে বুঝা যায় জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘বন্যা, খরা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসিনতার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
বিক্ষোভ সমাবেশে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২৫ জুন হাসি হাসি মুখে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনলেও ঈদে লাখো পরিবার ভালো খাবার পাবে না, পোশাক পাবে না। সামনে কঠিন পথ, তরুণ প্রজন্মকে সবসময় রাস্তা দখল করে নিজের অধিকার আদায়ে সরকারকে বাধ্য করার পরামর্শ দেন তিনি।
যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, এই সরকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় সংসদে এখন আর জনগণের কল্যাণে কোন আইন তৈরি হয় না, জাতীয় সংসদে এখন গান বাজনা হয়।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ, সাদ্দাম হোসেন, শাকিলজ্জামান, শহিদুল ফাহিম, ঝুনু রঞ্জন দাস, ড. আব্দুল মালেক ফরাজী, মেজর (অব.) আমিন আফসারী, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, মশিউর রহমান, সহকারী আহ্বায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন