পঞ্চগড়ে ২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল ও অবরোধের সময় ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়া মামলায় ছাত্রদল, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের ৬ নেতাকর্মীকে দুটি ধারায় ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনের মধ্যে নুরে আলম বাবু (তুর্কী বাবু) পলাতক রয়েছেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অপর ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহবায়ক এটিএম হাসানুজ্জামান পলাশ, জেলা যুবদলের সদস্য মো. সাবুল হক, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সালেক ডাবলু, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তুর্কী বাবু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য হায়াতুন আলম। সাইফুল ইসলাম, সুমন, নহরাল ফরহাদ দোয়েল, মাসুদ রানা, যুবদলের কর্মী পাভেল, মিজানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে সাজপ্রাপ্ত পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তুর্কী বাবু পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল ও অবরোধের সময় ছাত্রদল, যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে জেলা শহরের এমআর কলেজ রোড হতে রাস্তার দুই পাশের দোকান পাটে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, এডভোকেট আদম সুফি জানান, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। মামলার নকল কপির জন্য আবেদন করেছি। নকল কপি পেলে জেলা জজ আদালতে আপিল করা হবে।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এরশাদ হোসেন সরকার বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ছয় জন আসামিকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন