আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে সংঘর্ষ হয়।
জানা গেছে, কমিটি গঠন নিয়ে রাত ১২টার দিকে বিজয় গ্রুপ ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার-সিএফসির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। আধাঘণ্টা চলা এ সংঘর্ষে ইট পাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুই গ্রুপই। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরে পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১৩ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীদের দাবি, সিএফসির নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে তাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেন।
গত ১৩ জানুয়ারি চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু এবং উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ নাজমুল। তাদের উপস্থিতে আগামী ২৫ জানুয়ারির আগে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। আর তখন থেকে ক্যাম্পাসজুড়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করে।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সিএফসি পক্ষের নেতা হিসেবে পরিচিত রেজাউল হক রুবেল বলেন, চবি ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মোহাম্মদ ইলিয়াস (বিজয় পক্ষের নেতা) দীর্ঘদিন ধরে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। আর সেই সূত্র ধরে আজকে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের বিজয় পক্ষের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি না দিতে একটা বাহানা খুঁজছে তারা। আর সেজন্য তারা আমাদের ছেলেদেন উপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন