নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে তৃতীয় বারের মতো মেয়র হতে চলেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।
রোববার ভোটগ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণায় বেসরকারীভাবে তিনি বিজয়ী হন।
এরপর রাত ৯টায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আইভী বলেন, আমি মানুষকে কখনো মিথ্যা বলিনি, মিথ্যা আশ্বাস দিইনি।
আইভী বলেন, জনসমর্থন না থাকলে আমি টিকতে পারতাম না। আমি যেসব আশ্বাস দিয়েছি সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি।
তিনি বলেন, আবার প্রমাণিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাঁটি। আমি শেখ হাসিনার একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আজীবন এ দল করব। জয় বাংলার পক্ষে থাকব। তবে সব কিছুর ঊর্দ্ধে নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে সমর্থন দিয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, কারচুপি কোথায় হলো। এত গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে কীভাবে কারচুপি হলো। এত গণমাধ্যমে আমি তো আগে দেখি নাই। এর আগের মেয়র নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন... আপনারা সারাদিন গণমাধ্যম নারায়ণগঞ্জে ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিংটা কোথায় ছিল? ভোট স্লো হয়েছে এ অভিযোগ আমি সারাদিন করেছি। স্লো না হলে এক লাখ ভোটের ব্যবধানে জিততাম। তৈমূর কাকা কী অভিযোগ করেছেন, সেটা তিনিই বলতে পারবেন।
এ সময় আইভী তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় মিষ্টি নিয়ে যাবেন বলেও জানান।
নির্বাচনে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেগুলো বাস্তবায়ন করবেন জানিয়ে আইভী বলেন, আগের যেসব কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে সেগুলোও বাস্তবায়ন করব। তৈমূর কাকা যেগুলো বলেছেন সেটাও চিন্তাভাবনা করে তার সঙ্গে আলোচনা করে করব।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার তাকে বেসরকারিরভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন। সর্বশেষ ফলাফল অনুয়ায়ী স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত ১৯২ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের হাতি পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
নির্বাচনে আরো পাঁচ মেয়র প্রার্থী অংশগ্রহণ করলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নৌকা ও হাতি প্রতীকে।
এর আগে ২০১১ সালের প্রথম নির্বাচনে এবং ২০১৬ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও আইভী মেয়র পদে জয়লাভ করেন। এবারের নির্বাচনে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সদ্য সাবেক উপদেষ্টা স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন