ভোট যা হইছে বাদ, আজকা থেকে পিছনে কী হইছে সেটা দেখবো না। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি খালি সামনে দেখি। সামনে দেখবো এগিয়ে যাব। অনেক চেয়ারম্যানরা হাইরা গিয়া মন খারাপ করছে। ভাগ্য থাকলে তো আগামীবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনও করতে পারি, কী বলেন?’
‘চেয়ারম্যানি নিয়া চিন্তা করার কিছু নাই। চাইলে আল্লাহরে পাওয়া যায়, এটাতো চেয়ারম্যানিই। এবারো পারতাম, তয় দুই-চারটা মরতে হতো। এজন্য করি নাই। আগামীতে মনোনয়ন লাগবে না, ভোটও চাওয়া লাগব না, এমনি আমরা পাশ করুম। যদি পিছা মার্কা থাকে তবে পিছা মার্কা আনুম, তবে এইবারের মার্কা আনুম না। কারণ যারা ধানের শীষ করে নৌকায় ভোট দিতে পারে না। তাগো নাকি হাত কাপে।’
২৮ নভেম্বর নির্বাচনে পরাজয়ের পর ৪ ডিসেম্বর এক সভায় এমন বক্তব্য দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দ্বীন ইসলাম শেখ।
তার দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এরূপ বক্তব্যে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে দ্বীন ইসলাম শেখের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার জানান, তার এরূপ বক্তব্য মোটেই ঠিক হয়নি। দলকে অবমাননা করে এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলীয় সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হাফিজ আল আসাদ বারেক জানান, দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে- পরবর্তীতে আবার সেই প্রতীকের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্য দেবে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৮ নভেম্বর নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে ৪ হাজার ১৬৮ ভোট পান দ্বীন ইসলাম শেখ। তাকে পরাজিত করে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকে ৪ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে জয়ী হন কাদির হালদার।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন