আর কথা অথবা প্রতিজ্ঞা নয়; আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপিকে সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণকে দেখিয়ে দিতে হবে। আজ বুধবার বিকেলে যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেছেন, ‘আর কথা নয়, প্রতিজ্ঞা নয়। সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণকে দেখিয়ে দিতে হবে আমরাও পারি। দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দেশে পরিবর্তন আনতে পারে জিয়াউর রহমানের সৈনিকরাই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনায় যে ইকবালকে পাওয়া গেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য না এই কারণে সরকারই একবার বলে উন্মাদ, ভবঘুরে, পাগল। ইকবাল যতটা না পাগল, তার চেয়ে বেশি পাগল হলো সরকার। পাগল দিয়ে যদি এমন একটা দুর্ঘটনাকে এড়িয়ে যায়, বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চাপিয়ে পার পাওয়া যায়, তারা সে চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সে পাগলামিটা তো বিশ্বাসযোগ্য না।’
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান যুবদল গঠন করেছিলেন ভবিষ্যত নেতৃত্ব দেবে, জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে। সেই কাজটিই যুবদল করেছে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যুবদলকে দায়িত্ব নিতে হবে। এই দানব সরকারকে সরাতে হবে। এ জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমাদের একটি সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যুবদল ও ছাত্রদল বিএনপির প্রবেশ দ্বার। ছাত্রদল ও যুবদল শক্তিশালী হলে বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে। আগামী আন্দোলন সংগ্রামে তাদেরকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন