শিবিরের নতুন মিশন

রাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য দেশের রাজনীতিতে অনেকটা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে জামায়াত। তারা এখন রাজনীতিতে পরগাছা। কিন্তু মাঝে মাঝে আলোচনায় আসে নতুন করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য। তবে তাদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরও তাদের দেখানো পথেই হাটছে। বিশেষ করে জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি, নাশকতা ও বিভিন্ন সময় জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার নতুন করে আলোচনায় এসেছে শিবির।

চলমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় বিক্ষোভ করছে কিছু বাম সংগঠনের ছাত্ররা। কিন্তু গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, এই আন্দোলনে শিবিরকর্মীদের একটা বড় অংশগ্রহণ রয়েছে। শিবির কর্মীদের দিয়ে আন্দোলন বেগবান করতে চাইছে তারা। আর এর অংশ হিসেবে ঢাকায় সমাবেশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেড়াওসহ নানা কর্মসূচি করতে দেখা যাচ্ছে।

একটি সূত্র বলছে, এই বিক্ষোভকে ঘিড়ে নাশকতা করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ছাত্র শিবির। তারা চলমান বিক্ষোভ উস্কে দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে বিএনপির কর্মী এবং জামায়াতের আর্থিক সহায়তায় বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করছে তারা। আর সেই লক্ষে তাদের এজেন্টরা কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে শিবিরের প্রশিক্ষিত নাশকতাকারীদের এখন চলমান এই বিক্ষোভ সমাবেশে দেখা যাচ্ছে আর এ কারণে তাদের ওপরে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে গোয়েন্দাদের। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউবে গুজব ছড়িয়েও বিভাজন সৃষ্টি চেষ্টা করছে তারা। আর এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধীতা করছে কারণ এই আইনটি যদি বাতিল হয় তাহলে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিভাজন সৃষ্টি করতে সহজ হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরে মাঠে নামার কোনো ইস্যু হাতে পায়নি। কিন্তু হঠাৎ আল জাজিরার প্রতিবেদন প্রকাশের পর সরকার বিরোধীরা কিছুটা হলেও উজ্জীবিত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যুর ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মুশতাকের মৃত্যু নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। আর এই পরিস্থিতিতে সরকারবিরোধীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের একটা পায়তারা করছে। তবে সাধারণ ছাত্রদের এই বিক্ষোভের মধ্যে রাজনৈতিক মদদপুষ্টরা হয়তো পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করতে পারে। যদিও বর্তমানে প্রশাসন অনেক সক্ষম তাই তারা হয়তো এ ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করত পারবে।