১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি বন্দরনগরীর লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভার দিন ছিল। ওই দিন বেলা ১টার দিকে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রাক আদালত ভবনের দিকে এগোলে নির্বিচার গুলি ছোড়া শুরু হয়। পুলিশের গুলিতে ওইদিন ২৪ জন নিহত হন। পিরিস্হিতি সামাল দিতে শেখ হাসিনা সেদিন মাইক হাতে বলেছিলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, গুলি চালাবেন না’
এ সময় আইনজীবীরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে ঘিরে মানববেষ্টনী তৈরি করে তাকে নিরাপদে আইনজীবী সমিতি ভবনে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় নিহত কারও লাশ পরিবারকে দেয়নি স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকার। সবাইকে বলুয়ার দীঘি শ্মশানে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
ঘটনার চার বছর পর ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ এ ঘটনায় মামলা করেন আইনজীবী মো. শহীদুল হুদা। ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম দফায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর অধিকতর তদন্ত শেষে ১৯৯৮ সালের ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ৫৩ জন আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত বছর রায় দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন:
১. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক কনস্টেবল
২. প্রদীপ বড়ুয়া, সাবেক কনস্টেবল
৩. শাহ মো. আবদুল্লাহ, সাবেক কনস্টেবল
৪. মমতাজ উদ্দিন, সাবেক কনস্টেবল
৫. জে সি মণ্ডল, সাবেক পেট্রোল ইনসপেক্টর
সূত্র:বিবিসি, বাংলা ট্রিবিউন,চ্যানেল ২৪
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন