আওয়ামী লীগ ২০০১ সালের পর থেকে জোট করে। ১৪ দলীয় জোটটা মূলত আদর্শিক জোট এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনার দলগুলোকে নিয়ে একটি ঐক্য। এখানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, ওয়ার্কস পার্টি, জাতীয় সাম্যবাদী দলসহ ছোট ছোট বেশ কয়েকটি দলা আছে যারা উদার নৈতিক গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদেরকে নিয়ে ঐক্য গড়া হয়েছিলো। আবার আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য মহাজোট করছিলো। কিন্তু মহাজোট নিয়ে জিএম কাদের বলেছেন, মন্ত্রিসভায় যেহেতু জাতীয় পার্টি নেই কাজেই মহোজোট ঐতিহাসিকভাবেই নেই। এই অবস্থায় মাহজোটের কোনো কার্যক্রমও নেই। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ যে মন্ত্রিসভা গঠন করে সেখানে কোনো শরিক দলকে রাখা হয়নি। শরিককে না রেখে আওয়ামী লীগ একা একাই মন্ত্রিসভা গঠন করেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় দু’বছর হতে চললেও আওয়ামী লীগের বাইরে কোনো মন্ত্রী নেই।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মারা যাওয়ার পরে আমির হোসেন আমুকে ১৪ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু ১৪ দলের সমন্বয়ক হওয়ার পরে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মকাণ্ড করেননি তিনি। যার ফলে এখন ১৪ দল আছে, না নাই সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দীর্ঘদিন ১৪ দল নিষ্ক্রিয়। আবার মহাজোটের কার্যক্রমও নেই।
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ না থাকায় এমন অবস্থা তৈরি হয়ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতি মহলের অনেকে। কিন্তু বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে কোকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। হঠাৎ করেই মৌলবাদীরা উষ্কানিমূলক অবস্থান নিয়েছে। এই সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো এই জোট। এতে করে সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলো একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসমস্ত উষ্কানি প্রতিহত করত পারতো একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম নিয়ে। কিন্তু দীর্ঘদিন কর্মকাণ্ড না থাকায় এই জোটকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারছে না আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, এরকম অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগকে বের হয়ে আসতে হবে। এখন যদি জোট এবং শরিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করেত না পারে তাহলে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন উষ্কানি এবং আন্দোলন প্রতিহত করাটা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন