কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে বিএনপি। প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে দলটি। এই মুহূর্তে প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘ভারসাম্য’র নীতিকেই জোর দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। তবে প্রাণপণ চেষ্টা করেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারেনি বিএনপি। আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে না পারায় বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবশালী দেশও বিএনপিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ কারণে বেশ ক’বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা বিএনপি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। আর এ ব্যর্থতার কারণে দলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছেন।
কূটনৈতিক উইংয়ের বেশ কয়েক নেতার সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, বিগত কয়েক বছর প্রভাবশালী দেশগুলোকে আস্থায় আনতে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। সরকারে গেলে দলটির পররাষ্ট্রনীতি কী হবে, তা ওইসব দেশগুলোকে বোঝাতে পারেননি নীতিনির্ধারকরা। এ ব্যাপারে দোদুল্যমান থাকায় কোনো দেশই বিএনপির প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি। যার প্রভাব বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখা গেছে।
সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই বিএনপি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে কারাবন্দী হওয়ার আগে খালেদা জিয়া লন্ডন সফরে গিয়েও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা নেন। তাঁর ছেলে তারেক রহমানও এ বিষয়ে ব্যাপক চেষ্টা-তদ্বির চালান। কিন্তু কোন চেষ্টাই সফল হয়নি।
সূত্র মতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও লন্ডন বিএনপির নেতাদের সহযোগিতায় ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে এমন একটি প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে দেনদরবার করেন। কিন্তু কিছুতেই ভারতের সঙ্গে বিএনপির সুসম্পর্ক করার আশ্বাস পাননি।
এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ায় তিনি কারাবন্দী জীবন শুরু করেন। এর পর খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা চায় বিএনপি। ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতা চায় বিএনপি। কিন্তু এ বিষয়ে ভারত সহযোগিতা না করায় কোন দেশই এগিয়ে আসেনি।
দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর ২৫ মার্চ খালেদা জিয়া শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পান। এর পর থেকে তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থান করেন। করোনা পরিস্থিতি কিছু উন্নতির পর খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সহযোগিতা চায় বিএনপি। তবে কোন দেশের কূটনীতিকরাই সহযোগিতার তেমন আশ্বাস দিতে পারেননি। এ পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে নতুন উদ্যমে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করে বিএনপি। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কোন চেষ্টাই আলোর মুখ দেখেনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া লন্ডন সফরে যান। এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে আশা করা হয়েছিল লন্ডন সফরে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি ব্যবস্থা করতে পারবেন এবং দেশে ফিরে নবেম্বরের দিকে ভারত সফরে যাবেন। আর এ সফরের মাধ্যমে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয়ে ভারতের সরকার এবং ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সহযোগিতা চাইবেন। কিন্তু খালেদা জিয়া লন্ডন সফরে থেকে ২ মাসের বেশি সময়ের মধ্যেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে সফলতা অর্জন করতে পারেননি। তাই তার আর ভারত সফরেও যাওয়া হয়নি।
এর আগে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১২ সালে (২৮ অক্টোবর থেকে ৩ নবেম্বর) খালেদা জিয়া ভারত সফরে গেলে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয় ভারতের কংগ্রেস সরকার। সে সফরে গিয়ে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ক’জন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া তিনি সে দেশের বিরোধী দলের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর ফলে এক সময় বিএনপি ভারতবিরোধী বক্তব্য নিয়ে সোচ্ছার থাকলেও খালেদা জিয়ার ভারত সফরের পর ভারত বিরোধিতার পরিবর্তে সে দেশের পক্ষে বক্তব্য রাখতে থাকেন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তবে খালেদা জিয়ার ভারত সফরকালে ভারতের পক্ষ থেকে তাকে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করাসহ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়। এ খবর শুনে জামায়াত ক্ষুব্ধ হয়। তবে রাজনৈতিক জোট রক্ষার স্বার্থে বিএনপি জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েই একের পর এক আন্দোলন কর্মসূচী পালন করতে থাকে। এ বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখেনি ভারত।
২০১৩ সালের ৪ মার্চ বাংলাদেশ সফরের সময় ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সেনারগাঁও হোটেলে গিয়ে সাক্ষাত করার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার। সেদিন ছিল ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতের হরতাল। হরতালের মধ্যে গাড়িবহর নিয়ে গুলশানের বাসা থেকে সোনারগাঁও হোটেলে গেলে হরতাল ভঙ্গ করা হবে এবং এ জন্য দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত নাখোশ হবে মনে করে সেদিন খালেদা জিয়া প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে না গিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ করেন। খালেদা জিয়ার এ অবস্থানে খোদ বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা নাখোশ হলেও জামায়াতের নেতাকর্মীরা খুশী হন। তবে প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাত অনুষ্ঠানে না গিয়ে খালেদা জিয়া যে অসৌজন্যতা দেখিয়েছেন তা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া এ নিয়ে সোচ্চার হয়। এর ফলে ভারতবাসীর মধ্যে বিএনপির রাজনীতি সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব জোরালো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের শেষদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বের অধিকাংশ প্রভাবশালী দেশ এগিয়ে এলেও প্রতিবেশী দেশ ভারত এ ব্যাপারে কোন সাড়া দেয়নি। বরং ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তখন বরাবরই বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সংবিধান অনুসারে নির্বাচন করলে এতে তাদের কোন আপত্তি নেই। প্রতিবেশী প্রভাবশালী দেশ ভারতের এ অবস্থানের কারণে বিএনপির কূটনৈতিক মিশন ব্যর্থ হয়। এর ফলে বিএনপি জোটের লাগাতার আন্দোলনসহ নির্বাচন বয়কটের হুমকি উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সমমনা দলগুলোকে নিয়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে ফেলে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরও বিএনপি বিশ্বের অন্যান্য প্রভাবশালী দেশের সমর্থনের পাশাপাশি ভারতের সমর্থন আদায় করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কৌশল নেয়। বিশেষ করে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিজয়ী হওয়ার পর বিএনপি সেদেশের সমর্থন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ থেকে সবার আগে নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। অপরদিকে লন্ডন থেকে তারেক রহমানও নরেন্দ্র মোদিসহ বিজেপির প্রভাবশালী নেতাদের অভিনন্দন জানান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির যে শপথ অনুষ্ঠান হয় সে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার ব্যাপারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে খালেদা জিয়া পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাত কর্মসূচীতে না যাওয়ায় ভারত বিএনপির প্রতি চরম নাখোশ হয়। কারণ প্রণব মুখার্জী শুধু তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবেই নন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে ভারতবাসীর কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। তাই, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রণব মুখার্জী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেও বিজেপি ক্ষমতায় এসেও তাকে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে যথার্থ সম্মান-শ্রদ্ধার জায়গায় রেখেছেন। নির্বাচনে জিতে ক্ষমতা গ্রহণের প্রাক্কালে প্রণব মুখার্জীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে দেশাত্মবোধ ও সৌজন্যবোধের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেন নরেন্দ্র মোদি। তাই প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার অসৌজন্যমূলক আচরণের পর বিএনপিকে এখনও মাসুল দিতে হচ্ছে। এর পর অবশ্য বিএনপি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন চেষ্টাই সফল হচ্ছে না।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, বিএনপি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে না পারার অনেক কারণ রয়েছে। কারণ, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলের নেতাকর্মীরা ভারতবিরোধী প্রচার শুরু করে। তারা বরাবরই বলে আসছেন স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের গোলামি চুক্তি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নাকি ভারতের হাতে তুলে দিয়েছেন। মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি নিয়ে চালানো হয়েছে নানা উৎকট প্রচার। ১৯৭৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে ভারত বিরোধী প্রচার মাঠে ছড়ানো হয়। এই ভারত বিরোধিতাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যায় বিএনপি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া বিএনপির দায়িত্ব নেন। তিনিও জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া ভারত বিরোধী প্রচার অব্যাহত রাখেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে প্রচারের মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ দলের নেতাকর্মীরা জোরেশোরে বলতে থাকেন, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে বিসমিল্লাহ চলে যাবে, ভারত দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে যাবে, ২৫ বছরের গোলামি চুক্তি আবার অনুমোদন পাবে এবং ভারতের হাতে দেশের সার্বভৌম চলে যাবে। ভোটারদের একটি অংশ বিএনপির এই অপপ্রচারকে সত্য বলে মনে করেছিল। আর এ কারণেই সেবার বিএনপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচনের পর বিএনপি আবারও ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ওই বছর ১২ জুনের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে আবারও ভারত বিরোধী প্রচারকে সামনে নিয়ে আসে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে প্রচার করা হয়, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ফেনী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ আবারও ভারতের সঙ্গে গোলামি চুক্তি করবে বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। বিএনপির এ অপপ্রচার সামাল দিতে তখন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা ক্ষমতায় গেলে ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি নবায়ন হবে না। তবে সে নির্বাচনে বিএনপির ভারত বিরোধী প্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানে থাকায় বিজয়ের ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পরও বিএনপি ভারত বিরোধী প্রচার অব্যাহত রাখে। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানি চুক্তি করলে আবারও বিএনপি এবং তাদের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াত সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করতে থাকে। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় আবার বিএনপি-জামায়াত জোরেশোরে ভারত বিরোধী প্রচার চালাতে থাকে। আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ভারতের আধিপত্য বিস্তার হবে, মসজিদে মসজিদে উলুধ্বনি শোনা যাবে। সেবার ভিন্ন কৌশলে এমন প্রচার চালিয়ে বিএনপি সফলও হয়। কিন্তু ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এ ধরনের প্রচার কাজে লাগেনি। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০১১ সাল পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট এবং টিপাইমুখ বাঁধ ও সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে বিএনপি দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করে। কিন্তু বিএনপি দফায় দফায় চেষ্টা করেও আর ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভারত সেভাবে সাড়া না দেয়ায় সম্পর্ক উন্নয়ন করা সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভারতের সঙ্গে বিএনপির সৌজন্যমূলক সম্পর্ক রয়েছে। জনকণ্ঠ, যুগান্তর
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন