বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মাদক তো মন্ত্রিসভা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন- ‘ট্রাম্প নাকি আমাদের মতো সেবা পাচ্ছেন!’ এটা হয় মাদকের প্রভাব নয়তো গঞ্জিকার প্রভাব। অপদার্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার ভোট ডাকাত, তারা আরেকটি ১/১১ চাচ্ছে: নুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলোকে অব্যাহতির প্রতিবাদ ও পুনর্বহালের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটি।
রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ‘মুজিববর্ষে তিনি সুন্দর জীবন উপহার দেবেন’। আমি বলব- প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর দোহাই লাগে আর সুন্দর দোহাই দিয়েন না। আপনি শুধু আর্তনাদের জীবন দিয়েছেন। আজ সিলেট থেকে নোয়াখালী শুধুই নারীর আর্তচিৎকার। আল্লাহর দোহাই পদত্যাগ করুন। আপনি পদত্যাগ করলে জনগণ স্বস্তিতে থাকতে পারবে।
‘কারো দয়ায় সরকার ক্ষমতায় নেই’ ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ঠিকই বলেছেন ওবায়দুল কাদের। কারণ তারা জনগণের দয়ায় নেই। কেননা জনগণ তো তাদের দয়া করেনি। তারা অন্য কোনো দেশের দয়ায় ক্ষমতায় আছেন। আজ সাড়ে ১২ বছরে সারাদেশে জনপদের পর জনপদে খুন, গুম, ধর্ষণ আর মানুষের আহাজারি। তারা ধর্ষণের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। মাদকের উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ড. মোর্শেদ একজন মেধাবী শিক্ষক। তাকে ভিন্নমতের কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কারণ তিনি জিয়াউর রহমানের নামে প্রবন্ধ লিখেছেন। এ জন্যই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আসলে সরকার কাপুরুষ। তারা ভেবেছিল এই লেখার ঢেউ তাদের গদিকে নড়বড়ে করে দেবে। ড. মোর্শেদকে চাকরিচ্যুত করার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করেছে। যাকে বলা হয়- ‘ইউনিভার্সিটি অব ল ব্রেকিং’। অথচ সরকারদলীয় শিক্ষকরা এমফিল-পিএইচডি থিসিস জালিয়াতি করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এ সংক্রান্ত খবর গণমাধ্যমে বেরিয়েছে।
রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ভিসির কাছে কোনো নৈতিক শিক্ষা পাওয়া যায় না। তিনি নৈতিকস্খলনের জন্য দায়ী। তার গলায় গামছা দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে আনা দরকার। আজ শুধু শেখ হাসিনার কৃপাভাজন হওয়ার জন্য তিনি নীতি বিসর্জন দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে ন্যায়সঙ্গত দাবিতে আন্দোলন করতে হবে।
অবিলম্বে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলোকে চাকুরিতে পুনর্বহালে দাবি জানান তিনি।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন