ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক আহবায়ক হাসান আল মামুনকে খুঁজে পচ্ছে না সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৭২ ঘণ্টা বাড়িয়েও নির্ধারিত সময়ে জমা দেয়া সম্ভব হয়নি। মামলার প্রধান অভিযুক্ত সংগঠনটির তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় সোমবার সন্ধ্যায় তদন্ত জমা দেয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
ইয়ামিন মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সংগঠনের সাবেক আহবায়ক হাসান আল মামুন ছাড়া সকলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। মামুনের সঙ্গে আমরা কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারিনি। এছাড়া তাকে কোথাও খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও দিতে পারছি না।
ইয়ামিন আরও বলেন, আমরা অভিযোগকারী ছাত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করেছি তার আর কোন অভিযোগ আছে কিনা? তিনি আমাদেরকে তার দেয়া থানার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে বলেছেন। আমরা সকল প্রস্তুতি শেষ করে আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব।
উল্লেখ্য ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর মূল আসামি মামুনকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ৪৮ ঘন্টা সময় নিয়ে তদন্ত প্রতিবেন গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও ৭২ ঘন্টা সময় বাড়িয়ে আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল।
এর আগে নুর-মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কোতওয়ালী থানায় একটি করা হয়। তার আগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকির অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ুয়া এক ছাত্রী ওই মামলা করেন। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী। লালবাগ থানার মামলার বর্ণনায় ওই ছাত্রী হাসান আল মামুনের সঙ্গে প্রেম ও প্রণয়ের কথা জানিয়ে বিয়ে নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলেছেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী। একই তরুণীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মূল আসামি পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হাসান। আর তিন নম্বর আসামি নুরুল হক নুর। বাকিরা হলেন আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, মো. নাজমুল হুদা ও মো. আবদুল্লাহ হিল বাকী।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন