চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমানে দেশে একের পর এক মা বোন ধর্ষিত হচ্ছে। দেশের সর্বত্র চলছে ধর্ষিতার আর্তনাদ ও আহাজারি। দেশের সর্বত্র বিচারবর্হিভুত ও ক্ষমতার অপব্যবহারে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের অত্যাচার, নির্যাতন ও গণধর্ষণ এমন পর্যায়ে পৌছেছে একাত্তরের হানাদার বাহিনীকেও তা হার মানিয়েছে।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সিলেটের এমসি কলেজে ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণকারী ছাত্রলীগ নেতাদের শাস্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মনববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম, খুন, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজীতে মেতে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যার পর সিলেটের এমসি কলেজের ১২৮ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগের চিহ্নিত নেতাকর্মীরা। দেশের কোন মানুষই আজ নিরাপদ নয়, মা বোনদের ইজ্জতের বিনিয়ে অর্জিত স্বাধীনতা আজ বুলণ্ঠিত। ধর্ষণ, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে এই সরকার এক যুগের অধিক সময় টিকে আছে। দোষ করার আগে তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করলেও দোষ করার পর তার দায় বিএনপির ঘাঁড়ে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের অস্বীকার করে আসছে ছাত্রলীগ নেতারা।
তিনি বলেন, বর্তমান গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে প্রিয় স্বদেশ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকায় দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হওয়ায় ধর্ষকেরা বার বার ধর্ষণ করার সাহস পাচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি অবিলম্বে ধর্ষণের সাথে জড়িত চিহ্নিত ধর্ষকদের গ্রেফতার পূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। পাশাপাশি করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কলেজ বন্ধ থাকার পরেও ছাত্রাবাস কীভাবে খোলা রাখা হলো এবং সিলেট এমসি কলেজের মত একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে কীভাবে ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটলো তার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি জানান।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত ঘটনা অতীতে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটেনি। এমন নিষ্ঠুর, নৃশংসতা কোনো শুভবোধ সম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে পারে না। এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষনের ঘটনা নতুন কোন ঘটনা নয়। সরকারী দলের নেতাকর্মীদের লালসার শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে অনেকে। এসব ঘটনার সাথে সরকারী দলের নেতারা জড়িত থাকার কারণে তাদের কোন ধরণের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না। যার কারণে দেশে ধর্ষণের প্রবনতা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। জুলুম, নির্যাতন বন্ধ করে দেশে যতদিন গণতন্ত্রের সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না ততদিন এ ধরণের কর্মকাণ্ড চলতে থাকবে। এসব ঘটনা বন্ধ করার জন্য আমাদের জাগতে হবে, জনগণকে জাগিয়ে তুলতে হবে। ফ্যাস্টিট এই সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলে তাদের বিদায় জানাতে পারলেই ধর্ষণ, গুম খুন আর নির্যাতন বন্ধ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মো. মিয়া ভোলা, মোহাম্মদ আলী, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান, মাহবুবুল আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম , ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন