নানা ইস্যুতে আগানো-পেছানো এবং রাজনীতিতে সিদ্ধান্তহীনতা যেন বিএনপি’র নিত্যসঙ্গী। প্রেসব্রিফিং, দল গোছানোর নামে কমিটি গঠন যদি রাজনীতির সংজ্ঞাভুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে দলটি সঠিক রাজনীতিই করছে। জাতীয় ইস্যু এবং জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় যদি রাজনীতির সংজ্ঞায় থাকে তাহলে এনিয়ে কোন কর্মসূচির দেখা নেই বহু বছর। ২০১৫ সালের অসহযোগের পর থেকে মূলত মাঠের কর্মসূচিতে অনুপস্থিত বিএনপি। গত ৫ বছরের বেশি সময় ধরে দল ঢেলে সাজানো বা দল গোছানোর নামে কমিটি গঠনেই দলীয় কর্মকান্ড সীমাবদ্ধ রয়েছে। এই গোছানো এবং সাজানোর প্রক্রিয়ায় বছরের পর বছর জুড়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় নেতাদের। যদিও একটি বানোয়াট মামলায় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে জেলে নেয়ার পর সরকারের অনুমতি ব্যতিত কোন কর্মসূচি দিতে পারেনি দলটি । সরকারের নির্ধারিত বিধিনিষেধের ভেতরে থেকেই দলের শীর্ষ নেত্রীর জন্য কর্মসূচি সীমাবদ্ধ রাখতে দেখা গেছে। জনপ্রিয় এ নেত্রীকে রাজনীতি করে কারামুক্ত করা সম্ভব হয়নি বিএনপির পক্ষে। ভূয়া অভিযোগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের হয়ে নিজের বাসায় গৃহবন্দিত্ব বরণ করতেও পারিবারিকে উদ্যোগ নিতে হয়েছে। দল ছিল দর্শকের ভূমিকায়।
দলটির চেয়ারপার্সনকে বানোয়াট মামলায় কারাদন্ড দিয়ে রাখা হয়েছিল নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত ভবনের জেলখানায়। নির্জন সেলে বন্দি থাকতে হয়েছে প্রায় দেড় বছর। ৬ মাসের বেশি সময় রাখা হয় পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে। তারপরও দলটি তেমন কোন শক্ত প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়নি। উল্টো নিম্ন আদালতের রায়ের কয়েক মাসের মাথায় দ্রæততম সময়ে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল নিষ্পত্তি করিয়ে নিতে সক্ষম হয় সরকার। সরকারি নীল নকশায়ই জাতীয় ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ইনায়েতুর রহিমের বেঞ্চ থেকে জেলাজজ আদালতের দেয়া কারাদন্ড দ্বিগুণ করে দেয়া হয়। যা ইতিহাসে একটি বিরল ঘটনা বলা চলে। এতবড় জুলুমেও সর্বোচ্চ প্রতিবাদ ছিল দলীয় কার্যালয়ে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের একটি প্রেসব্রিফিং মাত্র।
নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে দোটানা
তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী আদায় না হওয়ায় ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ নেয়নি তৎকালীন ১৮ দলীয় জোট। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে। আওয়ামী লীগের একান্ত অনুগত ছাড়া কেউ ২০১৪ সালের নির্বাচনে যায়নি। এতে ভোটার বিহীন অবৈধ সরকারের তকমা নিয়ে ৫ বছর কাটাতে হয়েছিল শেখ হাসিনাকে। মধ্যবর্তী কোন নির্বাচন আদায় করে নেয়া সম্ভব হয়নি বিরোধী জোট বা বিএনপি’র পক্ষে। এই ৫ বছর জুড়েই পরবর্তী নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। তবে তত্বাবধায়ক বা নিরপেক্ষ সরকারের দাবী আদায় ছাড়া পরবর্তী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচনে যাবে কিনা, এই নিয়ে দলে ছিল টানাপোড়েন। এর মাঝেই ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী দলীয় চেয়ারপার্সনকে কারাগারে নেয়ার পর দলটিকে আরো বেশি দোটানায় পড়তে দেখা যায়। দলের মহাসচিব কখনো বলেছেন, চেয়ারপার্সনের মুক্তিছাড়া নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। আবার কখনো শোনা গেছে আন্দোলনের মাধ্যমে দলটির চেয়ারপার্সনকে মুক্ত করে তবেই নির্বাচনে অংশ নেবে দলটি। এমন দোদুল্যমান অবস্থায় নির্বাচনের আগে ঘটা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের আওয়াজ উঠে রাজনীতির মাঠে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে মূল নেতৃত্বে হাজির করা হয় ড. কামাল হোসেনকে। যিনি নিজে কখনো জনগনের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখেননি। এমন কি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নৌকা প্রতীকেও তিনি জামানত হারিয়েছেন। তাঁর কাঁধে ভর করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের স্বপ্ন দেখে বিএনপির নেতৃত্ব! সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্টে অনুযায়ী, কোরবানীর ঈদের দিন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বলেছেন, ড.কামালকে নেতা মেনে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।
নির্বাচনের তফসিলের আগে ড. কামাল হোসেনকেও দেখা যায় কৌশলী বক্তব্য দিতে। তত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে কি না এটা নিয়েও ছিল চরম অস্পষ্টতা। কিন্তু তফসিল ঘোষনার পরই ড. কামাল হোসেনের পক্ষ থেকে জাতীয় সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয়া হয়। এই চিঠির সূত্র ধরেই রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে কথিত সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু হয় শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে। এজেন্ডাবিহীন সংলাপে শেখ হাসিনার নির্বাচনী ফর্মূলা কবুল করা এবং নেতাদের ব্যাক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা ছাড়া দৃশ্যমান কোন দরকষাকষি সেখানে দেখা যায়নি। বরং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচনের পর থেকে যাকে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বলা হয়েছিল সেই শেখ হাসিনাকে বৈধতা দেয়া হয় সংলাপের মাধ্যমে।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে অংশ নেয়ার পর কোন অর্জন ছাড়াই নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষনা দেয় বিএনপি। তারপর শুরু হয় নতুন করে টানাপোড়েন। ২০ দলীয় জোট নাকি ঐক্যফ্রন্ট? এমন দু’টানার মাঝেই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দলটির কারাবন্দি চেয়ারপার্সনের মুক্তির ইস্যুটি হারিয়ে যায় নির্বাচনী ডামাডোলে। আইনের মারপ্যাচে সরকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে সুপ্রিমকোর্ট থেকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষনা করিয়ে নেয়। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদি রাজনীতির জয়লাভে বলতে গেলে সহযোগিতা করে ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট।
নির্বাচনী নাটকের পর আরো বেশি আগানো-পেছানো
নির্বাচনের দিন সকাল ১১টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিডিয়ায় প্রদত্ত¡ প্রতিক্রিয়ায় ভোট গ্রহণ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বলেছিলেন, কোথায়ও তেমন গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন নিয়ে তিনি আশাবাদি। অনুরূপ বক্তব্য দিলেন ঐক্যফ্রন্টের মূল নেতা ড. কামাল হোসেনও। বিএনপির এক শ্রেনীর নেতারা আশায় বুক বেধে বসেছিলেন ভোট গণনার পর তারা নাকি বিজয়ী হবেন। কিন্তু ভোট গণনা শুরু হতেই সব পরিস্কার হয়ে যায়। ইউটার্ণ আসে বিএনপি মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের সকালের অবস্থান থেকে। ঐক্যফ্রন্ট রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফলাফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষনা দেয়। নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোটের আয়োজন করতে দাবী জানানো হয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন থেকে। ৩০ ডিসেম্বর দিবাগত রাত শেষে দেখা যায় ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৭জন প্রার্থীকে জেতানো হয়েছে। এরমধ্যে একজন হলেন ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের মনোনীত সুলতাম মুহাম্মদ মনসুর। বাকী ৬ জন বিএনপি থেকেই মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বিএনপি মহাসচিব বিজয়ী হন বগুড়ায় জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান থেকে। যদিও তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত হন ঠাকুর গাওয়ের নিজের আসনে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদি রাজনীতির কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিএনপিতে আবারো শুরু হয় দোটানার রাজনীতি।
সংসদে অংশ না নেয়ার ঘোষনা
নির্বাচনের ফলাফল চুড়ান্ত হওয়ার পরপরই বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনকে নিশি রাতের ভোট বলে আখ্যায়িত করে বলা হয়, নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। বিএনপি’র বিজয়ী ৬জন শপথ নেবেন না এমন সিদ্ধান্তের কথাও বলা হয় তখন। বলা হয়, আওয়ামী লীগের লোকরা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোটের আগের রাতেই ভোট দিয়ে রেখেছে ব্যালটবাক্সে। এ নির্বাচনকে মহা জালিয়াতি ও নিশি রাতের ভোট বলেই প্রচারণা শুরু হয় দলটির পক্ষ থেকে। এই নিশি রাতের ভোটে গঠিত সরকার এবং ইলেকশন কমিশনের অধীনে আর কোন নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না বলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে বিএনপি’র পক্ষ থেকে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তেও স্থির থাকা সম্ভব হয়নি দলটির পক্ষে।
শেষ পর্যন্ত দেখা গেল শুধু সংসদে যাওয়া পর্যন্তই নয়, কোটা ভিত্তিতে পাওয়া একজন মহিলা সদস্য পর্যন্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। উক্ত মহিলা সংসদ সদস্য পরবর্তীতে সরকারের কাছে প্লট ভিক্ষা চেয়ে যথেষ্ট আলোচিত হয়েছিলেন। সংসদে অংশ গ্রহণ নিয়ে একাধিক সদস্যকে দল থেকে বহিস্কার করে আবার ফিরিয়ে নেয়ার মত হাস্যকর ঘটনাও ঘটে। এর মাধ্যমে বিএনপি আগের অবস্থান থেকে ইউটার্ণ দিয়ে তাদের ভাষায় নিশিরাতের ভোটের সংসদকেই কার্যত বৈধতা দেয় বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তখন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, ন্যূনতম স্পেস কাজে লাগানোর জন্যই তারা সংসদে যাচ্ছেন। বিগত প্রায় দুই বছরে তাদের ভাষায় অবৈধ সংসদকে বৈধতা দেয়া ছাড়া মহাসচিবের ন্যূনতম স্পেস কি কাজে লাগছে তাও এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন বর্জন
বেশ কয়েকটি ধাপে উপজেলা নির্বাচনের সরকারি ঘোষনা ছিল ৩০ ডিসেম্বরের (২০১৮) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই। নিশি রাতের ভোট ডাকাতির সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, এমন বক্তব্য দিয়ে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেয়া হয় বিএনরপি’র পক্ষ থেকে। প্রথম ধাপে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপি’র লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। সিদ্ধান্ত অমান্য করায় তাদেরকে দল থেকে বহিস্কারও করা হয়। অথচ, উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন শেষ ধাপের দু’টি পর্বে একই বিএনপি আবার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়ে ভোটে অংশ নেয়। দলীয় প্রতীকে প্রার্থীও মনোনয়ন দেয় তারা। দলটির সিদ্ধান্তহীনতা ও আগানো-পেছানোর রাজনীতি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা রীতিমত অবাক হন।
উপ-নির্বাচন নিয়ে তামাশা
আওয়ামী লীগের সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশন বহাল রেখে উপ-নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও ঘোষনা দেয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের পর। প্রথম উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচনের পরপরই মারা যাওয়া সৈয়দ আশরাফের শূন্য আসেন। শপথ গ্রহনের আগেই তিনি মারা যান। তাঁর শূন্য আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে বিএনপি। বলা হয়, এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচনে তারা যাবে না।
কিন্তু, এর কিছুদিন পরই বিএনপি মহাসচিবের ছেড়ে দেয়া বগুড়ার একটি আসনে দলটি আনুষ্ঠানিক প্রার্থী দেয়। সম্ভবত আসনটি শহীদ জিয়ার জন্মস্থান হওয়ায় বিএনপি প্রার্থীকে উপ-নির্বাচনে বিজয়ীও হতে দেয় শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। পরপর কয়েকটি উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর বিএনপি আবার পিছুটান দেয় নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে। গত ১৪ জুলাই বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা মহামারি ও বন্যার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক ও অগ্রহনযোগ্য। তাই এমন অযৌক্তিক সময়ে নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। করোনা মহামারি দুনিয়া জুড়ে এখনো অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশেও প্রতিদিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা তেমন একটা কমেনি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বাংলাদেশ সরকার রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা রাজনৈতিক কারণে কমিয়ে দেখাচ্ছে। অথচ এর মাঝেই জাতীয় সংসদের অনুষ্ঠিতব্য ৪টি উপ-নির্বাচনে দলটি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রার্থী বাছাই করেছে। এমনকি গুলশানে দলটির চেয়ারপার্সনের অফিসের সামনে মনোনয়ন নিয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি, হাতাহাতি এবং মাথা ফাটাফাটির ঘটনাও ঘটেছে। আন্দোলনের মাঠে এদের দেখা না গেলেও অর্থহীন উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে উৎসাহের কমতি নেই।
বিএনপি’র এসব আগানো পেছানোর বিষয়ে মন্তব্য নেয়ার জন্যে আমরা বিএনপি’র মহাসচিবের সাথে কথা বলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কয়েক দফা ফোন করার পর তাঁকে ম্যাসেজও পাঠানো হয়েছে। ম্যাসেজে বলা হয়েছে, ইউকে আমার দেশ-এর পক্ষ থেকে কথা বলতে চাই। একটা নিউজের জন্য আপনার মন্তব্য প্রয়োজন। প্রযুক্তি বলে দিচ্ছে ম্যাসেজটি তিনি দেখেছেন। তবে আমার দেশ-এর প্রশ্নের উত্তর মিলেনি তাঁর কাছ থেকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন