গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এন্টিবডি কিটের ট্রায়াল প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকারতো এটা দিচ্ছে না। সরকারের লোকজন চাচ্ছে না এটা দিয়ে দেশের মানুষের কোনো উপকার হোক। কারণ এটা হলে টাকার ভাগ-বাটোয়ারা পাওয়া যাবে না। সরকারের সঙ্গে আর কতো ঝগড়া করবো।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দেশের একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকার আমাদের এন্টিবডি কিট আমেরিকায় পরীক্ষা করাতে বলেছে। এমন একটা ল্যাবরেটরির নাম বলেছে, যেটা শুধু আমেরিকা ও ইউরোপের আছে। সেখানে কিটের পরীক্ষা করাতে গেলে এক কোটি টাকা লাগবে। সরকার না চাইলে তো আর এদেশে কিছু করা সম্ভব নয়। কিটের বিষয়ে তারা একেকবার একেক রকম কথা বলে।
তিনি বলেন, আমাকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এন্টিবডি কিট নিয়ে তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে। আমি তাদের বলেছি এন্টিবডি কিট দিয়ে আমি ব্যবসা করতে চাচ্ছি না। আপনি চাচ্ছেন ব্যবসা করতে, আমি চাচ্ছি দেশের মানুষের সেবা করতে। তাহলে আমাদের দু’জনের পার্টনারশিপ কীভাবে হবে? এরপর থেকেই সরকারের সুর বদলে গেছে। এ প্রসঙ্গে আমি আর কিছু বলতে চাই না। দেশের কথা কে ভাবে। এখন দেশবাসী বুঝুক।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বলেন, কিটের ট্রায়াল করতে সরকার আমাদের এমন সব কন্ডিশন দিচ্ছে, যা পূরণ করা অনেক কষ্টসাধ্য। পাঁচ মাস আগে আমরা করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য এন্টিজেন ও এন্টিবডি কিট তৈরি করেছি। আমাদের পরে কিট উৎপাদন করেও অনেক দেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভারত এন্টিবডি কিট নিয়ে আসছে, তাদেরও এই ল্যাবরেটরি নেই, ভারতেও এমন কন্ডিশন দেওয়া হয়নি। ইরানে এমন কন্ডিশন দেওয়া হয়নি। সেনেগালে আমাদের মতো ল্যাবরেটরি নেই। তারা এতসব কিছু দেখেনি, তারা দেখেছে বেসিক জিনিস ঠিক আছে কি নেই।
তিনি বলেন, আজ যদি বাংলাদেশে এতসব কঠিন নিয়ম-কানুন আরোপ করা হতো, তাহলে বাংলাদেশে ওষুধ নীতি তৈরি হতো না। ওষুধের নীতি না হলে আজ বাংলাদেশে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসাও হতো না। আসতে আসতে এসব জিনিস ডেভেলপ করতে হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন