বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকে মারধর করেছেন আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া বিএনপির সাবেক এক নেতা। এমনকি তার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ কারণেই মারধরের ঘটনাটি ঘটে। গতকাল শুক্রবার এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী।
এ ঘটনায় মারপিটের শিকার ছাত্রলীগ নেতা বাদী হয়ে আব্দুল ওয়াহাব (৫৫) নামে নয়া এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ধুনট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, আব্দুল ওয়াহাব উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানি গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আবু রায়হান। আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আগে ওয়াহাব মথুরাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। গত সংসদ নির্বাচনের সময় স্বেচ্ছায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি।
স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আব্দুল ওয়াহাব ছাতিয়ানি বাজারে চা স্টলের পাশে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন কটূক্তি করেন। তখন এর প্রতিবাদ করেন মথুরাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সবুজ ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মজনু সেখ। এ সময় ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল ওয়াহাব ও তার লোকজন ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সবুজ, লুৎফর রহমান লাভলু ও যুবলীগ নেতা মজনু সেখকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা কামরুজ্জামান সবুজ বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে আব্দুল ওয়াহাবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়কে মারপিট করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা সবুজ ও তার লোকজন। এ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সবুজকে মারধর করেছি। তবে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানন্ত্রীকে নিয়ে কোনো কটূক্তি করিনি।’
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির প্রমাণ পেলে আব্দুল ওয়াহাবের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আহম্মেদ জেমস মল্লিক।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন